শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ভাবলেশহীন সোনালী ব্যাংক!

ভাবলেশহীন সোনালী ব্যাংক!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি দিয়ে সেই যে সোনালী ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির শুরু, তা যেন থামছেই না। একের পর এক অনিয়ম প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে আর এসবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এর মোকাবেলা বা প্রতিকার করতে ভাবলেশহীন স্বয়ং সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

দুদকের মামলার সিদ্ধান্তের পর সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে তা নিয়েও কোনো মাথাব্যথাই যেন নেই প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এ বিষয়ে একাধিকবার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ রোববারও ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সোনালী ব্যাংকের যে দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারা হলেন, মতিঝিল লোকাল অফিস শাখার সিনিয়র অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান সরকার ও একই শাখার অফিসার লিয়াকত হোসেন চৌধুরী।

সোনালী ব্যাংকে একের পর আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও একাধিকবার সাবধান করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সোনালী ব্যাংকের ওপর নাখোশ বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন শাখার উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক আগেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক চলাকালে সোনালী ব্যাংকের তাদের সুপারভিশনের বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। বরং রোববার পুনরায় আরো একটি অনিয়মের জন্য দুদক সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিষয়ে মামলা করার মতো কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এসব তথ্য দুদক নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই পেয়েছে।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র ম মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুধু সেনালী ব্যাংকই নয়, যেকোনো ব্যাংকের যেকোনো অনিয়ম বের করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তাছাড়া সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংককে নিজেদের সুপারভিশনের ওপর জোর দিতে আমরা অনেক আগেই নির্দেশ দিয়েছি। অনিয়ম অনেকটাই কমে এসেছে। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরো কমে আসবে।

দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের গ্রাহক বেলহাছা একম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস্ লিমিটেডের হিসাব থেকে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজ নামীয় অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে এ সাতজন পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে এ জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম