রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ভবনে ঝুঁকি, মৌচাক মার্কেট বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

ভবনে ঝুঁকি, মৌচাক মার্কেট বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: ভবন সংস্কার সম্পন্ন বা বিল্ডিং কোড অনুসারে সনদ না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (০৬ জুন) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিটের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ মে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিককে একটি চিঠি দেন।

এ চিঠিতে বলা হয়, ইমারতটি জীর্ণ ও দৃশ্যত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতীয়মান হওয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক কাঠামোগত উপযুক্ততার সনদ গ্রহণ করে চাওয়া তথ্যাদি এই দপ্তরে (রাজউক) দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হল। সেইসঙ্গে ভবনটির কাঠামোগত উপযুক্ততা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হল।

এরপর বুয়েট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন রাজউকে দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে রাজউক গত ২ মে ভবন মালিককে আরেকটি চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বুয়েট প্রণীত কাঠামোগত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের পরামর্শ ও কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশনা স্বত্ত্বেও কাঠামোগত ঝুঁকি হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়িত্বহীনভাবে মার্কেট ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন, যা জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইমারত নির্মাণ আইন-১৯৫২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ অবস্থায় মার্কেটটির ব্যবহার বন্ধ করে বুয়েট প্রণীত নকশা (জবঃৎড়ভরঃঃরহম উবংমরহ) মোতাবেক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (জবঃৎড়ভরঃঃরহম) কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হল। কাঠামোগত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের দরুন যেকোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে একমাত্র আপনিই (মালিক) এবং আপনার ব্যবস্থাপনা দায়ী থাকবে এবং ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ অনুযায়ী যথাযথ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি চূড়ান্ত নোটিশ বলে গণ্য হবে।’

রাজউকের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিক আশরাফ কামাল পাশা হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোতাহার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মোখলেছুর রহমান। পরে মোখলেছুর রহমান জানান, মার্কেট বন্ধ রাখার আদেশ বাস্তবায়ন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং রাজউক। এছাড়া আদালত রুলও জারি করেছেন। রুলে ওই ভবন সংস্কারে রাজউকের নির্দেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দোকান খালি করতে কেন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, রাজউকের অথরাইজড কর্মকর্তাসহ সাত বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।