শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বড়দিন আজ

বড়দিন আজ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ২৫শে ডিসেম্বর। শুভ বড়দিন। খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের মতো বাংলাদেশেও উৎসব আমেজে বড়দিন উদযাপন করবেন ওই সমপ্রদায়ের লোকজন। ডিসেম্বর মাস শুরু হলেই এ সমপ্রদায়ের মানুষের মধ্যে উৎসবের সাড়া পড়ে যায়।

ইতিমধ্যে সব গির্জা ও বড় বড় হোটেল রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের অনেকের ঘরেই বসানো হয়েছে প্রতীকী গোশালা। এদিন বেথলেহেমের গরিব কাঠমিস্ত্রির গোয়ালঘরে মাতা মেরীর গর্ভে জন্ম হয় যীশুখ্রিস্টের। সে কথা স্মরণ করে বাড়িতে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি করতেই এটি করেন যীশুর অনুসারীরা। বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই ক্রিসমাস দিবসে সরকারি ছুটি থাকে।

যীশুর জন্মতিথি ২৫শে ডিসেম্বরকে প্রতি বছর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে বড়দিন হিসেবে পালন করে বিশ্বের খ্রিস্টান সমপ্রদায়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি-মুসলমানদের কাছে যিনি পরিচিত বিবি মরিয়ম হিসেবে। ধর্ম বিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূত গাব্রিয়েল (জিব্রাইল)-এর কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যীশাস, যা বাংলায় ‘যীশু’। ধর্মের শিক্ষাভ্রষ্ট তৎকালীন ইহুদি সমপ্রদায়ের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত এ শিশুটিই বড় হয়ে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করেন। ইসলাম ধর্মমতে তিনি হজরত ঈসা (আ.)। যীশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিস্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্য যুগে। সে সময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’।

ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের মানুষ দিনটি পালন করতে শুরু করেছেন। হাজার হাজার পুণ্যার্থী, পর্যটক যীশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে হাজির হচ্ছেন। সেখানে চার্চ অব নেটিভিটির বাইরে বয়স্কাউটরা ব্যান্ড বাজিয়ে মার্চপাস্ট করেছে। অনেকে সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে উৎসব পালন করছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। রাজধানীর ঢাকার বড় বড় হোটেল-হোটেল সোনারগাঁও, শেরাটন, র‌্যাডিসন, অস্টিনসহ খ্রিস্টান সমপ্রদায়ের মানুষ তাদের বাড়িঘর আলোক সজ্জায় সজ্জিত করেছেন। বড়দিনে এসব হোটেলে শিশুদের জন্য রয়েছে ক্রিসমাস কিডস পার্টিসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন।

প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সান্তাক্লজ আসছেন নানা উপহার ও চমক নিয়ে। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস গাছ ও রঙিন বাতি দিয়ে। সেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, জাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ কেক ও কুকিজের ব্যবস্থা করেছে সোনারগাঁও হোটেল। র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন, দ্য ওয়েস্টিন-ও অনুরূপ আয়োজন করেছে।