রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ব্লগার অনন্ত হত্যা ॥ তিন সূত্র ধরে চলছে তদন্ত

ব্লগার অনন্ত হত্যা ॥ তিন সূত্র ধরে চলছে তদন্ত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
সিলেট: মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকারীদের খোঁজে দু’দিন পার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু খুনীদের এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

কিলিং মিশনে স্থানীয় যুবকের সম্পৃক্ততা, হিটলিস্ট, আইপি অ্যাড্রেস শনাক্ত করার কাজ চলছে। খুনীদের শনাক্তে এ তিনটি সূত্র ধরে তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে দাবি পুলিশের।

আইপি অ্যাড্রেস শনাক্তে পুলিশের পক্ষে সম্ভব না হলেও অপর দুই ইস্যুতে তদন্তে সফলতা আসতে পারে বলে অনেকটা আশাবাদী পুলিশ তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবকটি ইউনিট মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নেমেছে এবং তদন্তের সার্বিক দিক উচ্চপর্যায় থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, কিলিং মিশনে চার জনের একজন ছিলেন সিলেট অঞ্চলের। অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা সংঘঠিত হওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুদে ব্যবসায়ীকে আঞ্চলিক ভাষায় হুমকি দিয়ে খুনীদের একজন বলে- ‘বসে থাক, নড়াচড়া করলে তোকেও জবাই করে রেখে যাবো।’

প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুদে ব্যবসায়ীর বয়ানকে তদন্তে প্রাধান্য দিয়ে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় হুমকি দেওয়া যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আল কায়দার অপারেশন টিমে সিলেটে কারা জড়িত –এ বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পাশাপাশি আনছারুল্লাহ বাংলাটিমের ৮৪ জনের হিটলিস্টের সূত্র ধরেও তদন্ত কাজ চলছে। রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়ের পর ওই হিটলিস্টের তিন নম্বরে ছিলো- মুক্তমনা লেখক অনন্ত বিজয়ের নাম। ঢাকায় অভিজিৎ হত্যার পর সিলেটে গ্রেফতার হওয়া ফারাবির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া হিটলিস্টেও অনন্তের নাম ছিল বলে জানায় পুলিশ।

আর হত্যার ‘দায় স্বীকার করে টুইট দেওয়া হলেও এখনো আইপি অ্যাড্রেস শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, আইপি অ্যাড্রেস শনাক্ত না করতে পারলেও আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, মূলত যে হত্যাকাণ্ডে লাভজনক বিষয় থাকে না, সে হত্যার আসামিদের বের করা দুস্কর। এদিক থেকে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে কতখানি সফলতা আসবে তা বলা মুশকিল। উদাহরণ স্বরূপ ওই কর্মকতা রাজিব হায়দার, অভিজিৎ হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ওই দুই খুনের ঘটনায় খুনীদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি।

খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে নিহত অনন্ত বিজয় দাশের বড় ভাই রতেশ্বর দাস বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত মুখোশধারী চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তে মহানগরীর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নুরুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওসি নুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘একাধিক সূত্র ধরে তদন্ত কাজ এগুচ্ছে। তবে, এ মূহুর্তে তা বলা যাচ্ছে না।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, খুনিদের মধ্যে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা যুবকের সন্ধান বের করার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে হিটলিস্টের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, খুনিরা ঘটনার দু-তিন মাস আগে থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলো এবং সুযোগ বুঝে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম