শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : গভর্নর

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : গভর্নর

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রিয় ব্যাংক সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে যে বিশৃঙ্খলা ছিল তা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমাদের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদ ভেঙ্গে পুনঃগঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কতিপয় নির্বাহীদের বিপুল অংকের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।’ এতে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে আসছে বলে তিনি দাবি করেন ।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সেনজা ফোরামের ২৯তম গভর্নরস সিম্পোজিয়াম-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেনজা হলো-এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের ২০টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক খাত তদারকি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত আঞ্চলিক ফোরাম।
এবারের সিম্পাজিয়ামের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘ম্যাক্রোইকোনমিক ইনভারমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি: ভালনারএবেল এন্ড ম্যানেজিং ক্রাইসিস’।
এই সিম্পোজিয়াম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বিভাগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনজা ফোরামের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন।
সিম্পোজিয়ামে নেপালের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের গভর্নর ড. যুবরাজ খাতত্তিয়াদা এবং কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ মোট ১৪টি দেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের উচ্চপদস্থ ২৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতে এখন আর অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হয়ে গেছি। তাই বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবও আমাদের ওপর পড়বে। এ কারনে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।’
ঝুঁকি ব্যবস্থানাকে আরো শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, ঝুঁকি বড় হওয়ার আগেই তাকে শেষ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন. পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতের সংস্থাগুলোকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। আর্থিক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সূর চৌধুরী বলেন, মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সুস্থ ও মসৃণ আর্থিক খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এ খাতের দুর্বলতা একদিকে মুদ্রানীতির প্রয়োগ যেমন জটিল করে তোলে, অন্যদিকে অর্থনীতির বাহ্যিক অভিঘাতসমূহের কারনে মুদ্রানীতির প্রয়োজনীয় উপযোজন করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে দেয়।
তিনি আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে বিচক্ষণ নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩-২০১৪ মেয়াদে শেনজা ফোরাম অব ব্যাংকিং সুপারভিশন এর উদ্যোগে ইতোমধ্যে ঢাকায় ৬দিন ব্যাপী সেন্ট্রাল ব্যাংকিং কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪০জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক