স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে সেরা ২০-এর থাকার কথা জানিয়েছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ আগে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গেও ছিলেন তিনি। তবে দিল্লিতে পাওয়া সেই আত্মবিশ্বাস মেলবোর্নে কোন কাজেই আসল না। যার ফলে বিশ্বকাপে লক্ষ্যটাও পূরণ হলো না দেশ সেরা গলফারের। গতকাল শেষ হওয়া মর্যাদার এই আসরে যৌথভাবে ৫৫তম হয়েছেন তিনি। গতকাল চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম রাউন্ডের মতোই পারের চেয়ে দুই শট বেশি খেলেন সিদ্দিকুর।
দুটি বার্ডি (কোন হোলের নির্ধারিত পারের চেয়ে এক শট কম খেলা) পেলেও সঙ্গে দুটি বোগি (পারের চেয়ে এক শট বেশি খেলা) ও একটি ডাবল বোগিতে বেশি এগুতে পারেননি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে যথাক্রমে পারের চেয়ে চার ও ছয় শট বেশি খেলে অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিন শেষে ৩২তম থাকলেও সব মিলিয়ে পারের চেয়ে ১৪ শট বেশি খেলে ৫৫তম হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করলেন বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার গলফার। চতুর্থ রাউন্ড শেষে পারের চেয়ে মোট ১০ শট কম খেলে শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার জেসন ডে।
ডেনমার্কের টমাস বিয়র্ন মোট আট শট কম খেলে দ্বিতীয় হয়েছেন। বিশ্বের দুই নম্বর গলফার স্বাগতিকদের অ্যাডাম স্কট প্রথম রাউন্ডের ব্যর্থতা ঝেড়ে দারুণভাবে ফিরে এসে তৃতীয় হয়েছেন পারের চেয়ে সাত শট কম খেলে। দলগত প্রতিযোগিতায় পারের চেয়ে মাট ১৭ শট কম খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিকরা। ৭ শট কম খেলে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় ও ৫ শট কম খেলে ডেনমার্ক তৃতীয় হয়েছে।
সিদ্দিকুর ছাড়া আর কোন বাংলাদেশী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় দলগত প্রতিযোগিতায় ছিল না বাংলাদেশ। দলগত বিভাগে অবশ্য আলাদা কোন প্রতিযোগিতা হয়নি। একটি দেশের দুই গলফারের স্কোর যোগ করেই এ বিভাগের মোট স্কোর ধরা হয়েছে। এককের মোট প্রাইজমানি যেখানে ৭০ লাখ ডলার, সেখানে দলগত বিভাগের প্রাইজমানি ১০ লাখ ডলার।