শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বৈষম্যহীন একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার দাবি

বৈষম্যহীন একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার দাবি

শেয়ার করুন

ঢাবি রিপোর্টার ॥

ঢাকা : দেশে বর্তমানে তিন স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত আছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশ উপযোগী সাধারণ শিক্ষা, উচ্চবিত্তদের উদ্যোগে তাদের সন্তানদের জন্য বিদেশি ভাবধারায় ব্যয়সাধ্য ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা এবং মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণায় প্রতিষ্ঠিত আলিয়া ও কওমি ধারার মাদরাসা শিক্ষা।

এ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সর্বস্তরে বিজ্ঞানমনস্ক একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের দাবিতে গণজমায়েত ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার ( ১০ মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এই গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। গণজমায়েত শেষে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজননীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাজ করছে নানা অসঙ্গতি। তিন ধারায় শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিক্ষা গ্রহণকারীদের আচার-আচরণ স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন।

ইংরেজি মাধ্যম ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-কৃষ্টির ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন থাকে। তিন ধরনের নাগরিক তৈরি হওয়ার কারণে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলা যাচ্ছে না। অপরদিকে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে সংগঠিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ভিন্নধারার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

শিক্ষাব্যবস্থার এই অসঙ্গতি দূরীকরণের জন্য সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হল : সংবিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে অবিলম্বে বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর এবং সমপর্যায়ের অভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পাঠসূচি নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সব স্তরে কর্মমুখী শিক্ষা চালু করা। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য কর্ম দিবসের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা এবং আইন অমান্যকারীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সর্বশেষ দাবি সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি তৎপরতা কঠোর হস্তে দমন এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণাপূর্বক তাদের সম্পদ জাতীয়করণ করা।

গণজমায়েতে সংগঠনের সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীন একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের দাবিতে ক্ষুদ্র শক্তিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জিয়াউদ্দীন তারেক আলী, অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, আব্দুল মতিন ভূইয়া প্রমুখ। গণজমায়েত শেষে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শাহবাগে এসে শেষ হয়।