রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার হয়ে গেছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি দিন দিন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এর আগে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিলারদের মাধ্যমে সারা দেশে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তের কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি। সে সময় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারোয়ার জাহান তালুকদার বলেন, বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত ৫৫ টাকা দরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম চালু থাকবে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আমাদের দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পৌঁছায় কেজিপ্রতি ৭০ টাকা। ফলে টিসিবি ২৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। সে সময় টিসিবির পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় কেজিপ্রতি ৪৭ টাকা। এরপর বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু পর্যাপ্ত আমদানি না থাকায় কয়েকদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম। আর এতে আবারও বাড়তে থাকে পেঁয়াজের ঝাঁজ। যা মঙ্গলবার সকালে ১০০ টাকায় পৌঁছায়।

এদিকে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানিকারকদের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বেঁধে দিলেও তার কোনো প্রভাব পড়ছে না। এছাড়া পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে মিয়ানমার থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তও হয়। পেঁয়াজের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে একটি গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএইড।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পেঁয়াজ ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। এর ফলে পেঁয়াজের চাহিদাও বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতি বছর ১২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে পেঁয়াজের চাহিদা হবে ন্যূনতম ১৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ৬৯ শতাংশ বেড়ে পেঁয়াজের চাহিদা ২০ লাখ ৮ হাজার টনে উঠবে ২০২০ সালের মধ্যে।

পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে ইউএসএইড। এর মধ্যে রয়েছে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যম মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ। স্বল্পমেয়াদি সুপারিশে বলা হয়েছে, ভারতের পেঁয়াজে নির্ভরতা কমাতে হবে। চীন, মিসর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উঁচুমানের বীজ, সার সরবরাহ করা উচিত। মধ্যম মেয়াদি সুপারিশে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ সরবরাহে একচেটিয়া ব্যবস্থা ভেঙে দিতে হবে। পেঁয়াজের ব্যবসায় আরও অধিক সংখ্যক লোক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।