রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > বিনোদন > বিয়ে-ডিভোর্স মিলার ব্যবসা: সানজারির পরিবারের দাবি

বিয়ে-ডিভোর্স মিলার ব্যবসা: সানজারির পরিবারের দাবি

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥
গত ৫ অক্টোবর পপ গায়িকা মিলার দায়েরকৃত মামলায় তার স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় বইছে জেরার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার মাঝে। সানজারিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও তার স্ত্রী মিলা হয়ে উঠেছে সমালোচনার পাত্রী। বেড়িয়ে এসেছে মিলার উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনসহ নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে বিয়ের পর মাত্র ৪ মাসের সংসারে বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠলেও এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়নি। পারভেজ সানজারির বাবা-সা সরকারি কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তারা গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি।

তবে তারা জানিয়েছেন, অশৃঙ্খল জীবন-যাপন করা মিলার নেশা পেশায় রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ না। এমনকি তিনি একজন নেশাগ্রস্ত নারী। দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে, আর রাতের বেলায় কারণে অকারণে হট্টগোলের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বিয়ে করা ও ডিভোর্স দেয়া তার ব্যবসা বলে দাবি করেছেন সানজির পরিবার। একযুগ আগেও মিলার আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ছেলের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর শান্ত হয় মিলা। বর্তমানে আবার সেই পথে অগ্রসর হয়েছেন তিনি। মিলার শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি, মিলা তাদের সংসারকে নরক রাজ্যে পরিণত করেছে। যা বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি পাররিবারিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হলেও তার কোনকিছুই মানছে না মিলা। মিলা কি চায় এবং কি করবে তা বুঝাই মুশকিল।

মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলার দায়েরকৃত মামলাটির বিষয় সম্পর্কে ওই পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, দায়েরকৃত মামলায় উল্টো ফেঁসে যেতে পারে মিলা। কারণ তাকে মারধর করা হয়নি। এমনকি তিনি ডাক্তারি সনদপত্রেও আঘাতের চিহ্ন প্রমাণ করতে পারবে না। আর যৌতুকের বিষয়ে বলেন, এটি বানায়োট। যা তদন্ত করলে ঘটনার মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার দত্তরাবাদ গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, পারভেজ সানজারি চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র। এমনকি তার পরিবারের সকলেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। এমন ছেলে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে, মিলা এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এনিয়ে পরে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন রিসিভ করেনি আর।

এদিকে গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিলা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, আমি ডিভোর্স দিতে যাচ্ছি। পারভেজ সানজারির সঙ্গে ১০ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের মাত্র ১৩ দিনের মাথায় জানতে পারি আমার স্বামী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। আমার স্বামী ক্রমাগত আমার সাথে প্রতারণা করতে থাকে। বিয়ের আগে যখন আমরা ডেটিং করতাম তখনও একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করে আমার সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। এমন প্রতারকের সঙ্গে বসবাস করা অসম্ভব। সততা ছাড়া জীবন কিছুই না।’

মিলা আরো লেখেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে আমি এটা মানতে পারি না। কারোরই উচিত না। কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেবে না, মেয়েদেরও মেনে নেয়া উচিত না। আমি এখনো চেষ্টা করেছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু তার (পারভেজ সানজারি) কাছ থেকে কেবল মানসিক নির্যাতন পেয়ে যাচ্ছিলাম। এছাড়া শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেক চেষ্টা করেও সংসার টেকাতে পারলাম না। একটা সময় উপলব্ধি করলাম যে আমি আর এসব সহ্য করতে পারছি না। এখন আমার ভাগ্য আমার নিজের হাতে নিতে হবে এবং এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার পরিবারের সহযোগিতায় আমি উত্তরা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এ মামলা করেছি। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ঢাকা উত্তরার পশ্চিম থানা সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে। এনিয়ে যা ঘটেছে তা অনেকেই জানে। তবে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।

উল্লেখ্য, ১০ বছর প্রেম করার পর চলতি বছরের গত ১২ মে ২৫ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল মিলা ও পারভেজের। পারভেজ সানজারি একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে কর্মরত।
ব্রেকিংনিউজ