বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ যেকোনো ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষের কাছে তার বিয়ের দিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক আবেদন নিয়ে আসে। ওই দিনটিতেই তার মনের সব রঙ একযোগে ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের রাতে যৌনতা প্রসঙ্গটি বিয়ের আগে থেকেই বেশ চিন্তা আর আলোচনার বিষয়। পশ্চিমাদের ২৫ শতাংশ বিয়ের রাতে সেক্স করতে পারে না অতিমাত্রায় মদে মাতাল হওয়ার কারণে। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে ধর্ম বা গোত্র বিভেদে এবং মানুষের ব্যক্তিগত অভিরুচির ওপর ভিত্তি করে বিয়ের রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর যৌনতা নানা রূপে ধরা দেয়। ওয়েডিং স্টেশনারি কম্পানি ‘পেপার শেকার’ সম্প্রতি ১০০০ নব্য বিবাহিত দম্পতির বিয়ের রাতে যৌনতার বিষয়টি নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে। ওই জরিপে সদ্য বিবাহিতদের অভিজ্ঞতার বয়ান থেকে বিয়ের রাতে সেক্স প্রসঙ্গে ১৫টি সত্য বের করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। পশ্চিমাদের বিয়ের রাতের বিশেষ ১৫টি সত্য এখানে দেওয়া হলো।
১. ‘আমার নতুন হাজবেন্ড বিয়ের দিন মদ খেয়ে নাচতে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে। রাতে তার বাবা-মা ছেলের খোঁজ নিতে আমাদের শোয়ার রুমে এসে দেখেন, মাতাল অবস্থায় আমার জামাইয়ের মুখ থেকে শুধু গোঙানির শব্দ বের হচ্ছে। আর তা ব্যাথায় হচ্ছিলো’, বিয়ের রাতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এক নব পরিণীতা।
২. ‘আমার নতুন জামাই মদে চুড় হয়ে আমাকে নিয়ে হোটেলে ওঠে। ওই রাতে আমি যা করেছিলাম তা হলো, সারা দিন কিছু না খাওয়ায় সারা রাত চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত বেহুঁশ জামাইটিকে কিছু খাইয়েছিলাম’।
৩. ‘আমাদের বিয়েতে বেশি পরিমাণ মদ না খেয়ে কিছুটা বিরস ছিলাম আমরা। আর এতে যে সুবিধে হয়েছিলো, আমরা ওই রাতেই সেক্স করতে পেরেছিলাম’।
৪. ‘আমরা সেক্স করেছিলাম, যতোদূর মনে করতে পারি। কারণ মাথা কাজ করছিল না। আর প্রথম রাতের যৌনকর্মটি ক্লাসিক করতে যথেষ্ট মাথা ঠিক রাখতে হয়েছিল’।
৫. ‘আমাদের বিয়ে হয়েছিল লাস ভেগাসে। কাজেই হোটেলের ক্লাবে সময় কেটেছে। তা ছাড়া হোটেলে সারা রাত নেচে আর মদ খেয়ে যখন রুমে এসেছি তখন দুজনই ঘুম’।
৬. ‘বিয়ের দিন আমাদের দুজনের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমার স্বামীর এক দল বন্ধু মদ খেয়ে মাতলামি শুরু করে। কোনো একটা ঘটনা নিয়ে আমার জামাই ভেবেছিল আমি তাদেরকে বিয়ে থেকে চলে যেতে বলেছি। এ নিয়ে তর্ক। আর রাতে দুজন দুই রুমে গিয়ে ঘুম’।
৭. ‘আমার জামাই শ্যাম্পেন খেয়ে মাতাল হয়ে গিয়েছিল। কাজেই রাতে যৌনতার কোনো নামই নেই। অবশ্য আমরা এখন আলাদা হয়ে গেছি’।
৮. ‘প্রথম যে কাজটি করেছিলাম তা হলো, দুজন আগে বিছানাই গিয়ে উপহারের খামগুলো খুলে টাকা গুনি। তারপর পিৎজা অর্ডার দেই। কারণ খুব খিদে লেগেছিল। তারপর তা খেতে খেতে টিভি দেখে ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ ওই রাতে খুবই ক্লান্ত ছিলাম’।
৯. ‘আমি ছিলাম ছয় সপ্তাহের প্রেগনেন্ট, এতো ক্লান্ত ছিলাম যে তা বলার মতো না। অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া দাওয়া করে সোজা বিছানায় গিয়ে ঘুম’।
১০. ‘বিয়ের রাতে লিন্জেরি পড়েছিলাম যেনো স্বামীর চোখে আমাকে দারুণ দেখায়। কিন্তু ওর বেশি আগ্রহ ছিলো উপহারের টাকা গুনতেই। সে আমাকে বলেছিলোও যে, আমাকে এখন সেক্স করতে বাধ্য করো না। এরপর আমরা ঘুমিয়ে যাই’।
১১. ‘আমাদের অনুষ্ঠান সকাল ও দুপুরের খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। পরে রাতে আমার ডিউটি ছিলো। কাজেই সেক্স করার সময় কখন?’
১২. ‘আমি বার্বিকিউ প্রায় পুড়িয়েই ফেলেছিলাম। বিছানায় দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। আমি ওর শার্টটি টেবিল ল্যাম্পের ওপর ছুঁড়ে ফেলেছিলাম। পরে ডিনার করে যখন রুমে আসি তখন ওই শার্টটি প্রায় পুড়ে গেছে’।
১৩. ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল এবং আমি রুমে চলে যাই। আমার জামাই যখন রুমে আসে তখন কিছুটা খুনসুটি করেছিলাম। কিন্তু পরে আমি ওর হাতের ওপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে যাই’।
১৪. ‘আমাদের বিয়ের রাতটি কেটেছিল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুমে। কে জানিনা কেক কাটার টেবিলটিকে ঠিক মতো বসায়নি। গোটা টেবিল পড়ে আমার পায়ের ওপর’।
১৫. ‘আমরা দুজনই মদ খেয়েছিলাম। তবে রাতে ঠিকই সেক্স করেছি। পরদিন যখন বাইরে থেকে ঘুরে এসে হোটেলের রুমে ঢুকেছি, তখন দেখি রুম ক্লিনাররা এসে এলোমেলো সব কিছু গুছিয়ে দিয়ে গেছে। সেখানে গত রাতের জামাই-বউয়ের একান্ত কাজের কিছু গোপনীয় জিনিসও ছিলো যা তারা বিছানার একপাশে গুছিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। আমার দারুণ লজ্জা লেগেছিল পরে রুম ক্লিনারদের মুখোমুখি হতে’। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
