নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১১-এর সদস্যরা।একই সঙ্গে ধর্ষক সাইফুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী তরুণীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র্যাব-১১।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক শমসের উদ্দিন বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তারের (২১) সঙ্গে একই উপজেলার দুলালপুর গ্রামের হানিফ ফকিরের ছেলে সাইফুল ইসলামের পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাবিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলাম। গত ৮ জুন বিয়ে করার কথা বলে সাবিনাকে বাড়ি থেকে কাজিরচর গ্রামের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সাবিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে সে।
কিন্তু বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে রাজি হয়নি সাবিনা। পরে সাবিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সাইফুল। হত্যার পর সাবিনার মরদেহ ধর্ষণ করে। পরে সাবিনার মরদেহ কলাবাগানে ফেলে চলে যায়।র্যাব-১১-এর অধিনায়ক শমসের উদ্দিন আরও বলেন, মরদেহ কলাবাগানে ফেলে চলে যাওয়ার সময় সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি চলে যায় সাইফুল। ঘটনার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়। ৮ জুন স্থানীয় লোকজন কলাবাগানে মরদেহ দেখে শিবপুর থানা পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে নামে র্যাব-১১-এর একটি বিশেষ দল।এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে শিবপুর কলেজ গেট এলাকা থেকে ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাবিনাকে হত্যা ও মরদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার সে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র্যাব-১১-এর অধিনায়ক শমসের উদ্দিন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন, র্যাব-১১-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।