বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ক্যারিবীয়দের হারাল আইরিশরা

বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ক্যারিবীয়দের হারাল আইরিশরা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন আয়ারল্যান্ডের ওপেনার পল স্টার্লিং। করেছিলেন ৭৪৯ রান। সেই ধারা তিনি বজায় রাখলেন নতুন বছরেও। প্রথম ম্যাচেই খেলেছেন বিষ্ফোরক ৯৫ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে আইরিশরা।

গ্রেনাডার সেইন্ট জর্জেসে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আগে ব্যাট করে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কম যায়নি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তাদের ইনিংস থেমেছে ২০৪ রানে। জশুয়া লিটলের করা দুর্দান্ত শেষ ওভারের কল্যাণে ৪ রানের জয়ে সিরিজে লিড নিয়েছে সফরকারীরা।

অল্পের জন্য নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি করতে পারেননি স্টার্লিং। তবে উদ্বোধনী জুটিতে কেভিন ও’ব্রায়েনকে নিয়ে ঠিকই গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের তুলোধুনো করে দুজন মিলে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে যোগ করেন ৯৩ রান। যা কি না আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লে’তে করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

পাওয়ার প্লে’তে সর্বোচ্চ রানের আগের রেকর্ডটি ছিলো নেদারল্যান্ডসের দখলে। সেটি ছিলো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই। ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে ৯১ রান করেছিল নেদারল্যান্ডস। সেই রেকর্ড এবার নিজেদের করে নিলো আয়ারল্যান্ড।

শুধু পাওয়ার প্লে’র রেকর্ডই নয়, উদ্বোধনী জুটিতেও রেকর্ড গড়েছেন স্টার্লিং ও ও’ব্রায়েন। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জুটিতে মাত্র ১২.৩ ওভারে ১৫৪ রান পায় আয়ারল্যান্ড। যা কি না উদ্বোধনী জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে কোনো দেশের সেরা।

আইরিশদের বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙেন প্রায় ৪ বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ডোয়াইন ব্রাভো। সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৮ রান করেন ও’ব্রায়েন। তার বিদায়ের মাধ্যমেই যেনো পতনের শুরু হয় আয়ারল্যান্ড ইনিংসে।

পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন ঝড় তোলা স্টার্লিংও। মাত্র ২০ বল ফিফটি পূরণ করার পর স্টার্লিং খেলেন ৪৭ বলে ৯৫ রানের টর্নেডো ইনিংস। ক্যারিবীয় বোলারদের মুড়িমুড়কির মতো উড়িয়ে ৬টি চারের পাশাপাশি ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৬ রান।

কিন্তু এরপর আর প্রত্যাশামাফিক খেলতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। যার ফলে শেষের ৪০ বলে মাত্র ৫২ রান তুলতেই আউট হন ৫ ব্যাটসম্যান। আইরিশদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ২০৮ রান করে।

বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সেরা পারফরম্যান্স দেখান প্রায় ৪ বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ডোয়াইন ব্রাভোই। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় তিনি নেন ২টি উইকেট। এছাড়া শেলডন কটরেল ও খ্যারি পিয়েরে ২টি করে উইকেট নিলেও, বেশ খরুচে ছিলেন তারা।

২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্টার্লিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে যথাযথ জবাব দেন ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস। মাত্র ২৪ বলে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। দলকে রাখেন লক্ষ্যের পথেই। তিনি সাজঘরে ফেরেন নবম ওভারে। আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ২৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন লুইস।

আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমনস করেন ১৪ বলে ২২ রান। এরপর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। শিমরন হেটমায়ার ১৮ বলে ২৮, অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ১৫ বলে ৩১ ও নিকলাস পুরান ১৩ বলে ২৬ রান করে দলকে জয়ের পথেই রাখেন।

শেষ ওভারে ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন ছিলো ১৩ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন ১২ বলে ২৬ রান করা শেরফান রাদারফোর্ড। কিন্তু প্রথম বলেই তাকে আউট করে দেন লিটন। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ব্রাভো। কিন্তু পরের ৪ বলে মাত্র ২ রান খরচ করে ম্যাচ নিজেদের কাছেই রাখেন আইরিশ পেসার লিটল।