সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিশ্বকাপে আফগানিস্তান প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে আফগানিস্তান প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ অবশেষে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপে খেলার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো। এশিয়ার নতুন ক্রিকেট শক্তি হিসেবে প্রথমবারের মতো আগামী বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ দেশটি। গতকাল আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ খেলায় কেনিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপের স্থান নিশ্চিত করে তারা। আগামী বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ‘এ’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সঙ্গে খেলবে। আফগানরা গ্রুপ পর্বে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ১৮ই ফেব্রুয়ারি মানুকা ওভালে প্রথম খেলায় লড়বে দল দু’টি।
৮ দলের টুর্নামেন্টে শীর্ষ দু’দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেছে। আয়ারল্যান্ড শীর্ষে থেকে আগেই বিশ্বকাপ সরাসরি নিশ্চিত করেছিল। আর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সব নাটকীয়তা বাকি ছিল শেষ ম্যাচের জন্য। আফগানিস্তান হারলে এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট পেতো সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে কেনিয়াকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের ওঠার উল্লাস করলো আফগানরা। আয়ারল্যান্ড ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। তিন দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কেনিয়াকে হারালো আফগানরা। ২রা অক্টোবর আফগানিস্তানের রোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৮৯ রানে অল আউট হয়েছিল কেনিয়া। আর গতকাল আবারও ১০০ নিচে গুটিয়ে গেল তারা। স্পিনার হামজা হতাক ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর বোলিংয়ে তারা অল আউট হয় মাত্র ৯৩ রানে। কেনিয়ার মাত্র দু’জন ব্যাটসম্যানের রান দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছতে দেয় আফগানরা। মরিস ওউমা করেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে র‌্যাকেপ প্যাটেলের ব্যাট থেকে। আর সবার রান যেন টেলিফোন নম্বর। কেনিয়া ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও শেষ ২৪ রান যোগ করতেই পড়ে যায় ৬ উইকেট। হামজা ৩টি এবং মোহাম্মদ নবী, হামিদ হাসান ও করিম সাদিক নেন দু’টি করে উইকেট।
৯৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বানিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। মাত্র ২০.৫ ওভার খেলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। তাদের হাতে উইকেট থাকে ৭টি আর বল থাকে ১৭৫টি। তবে শুরুতে দলীয় ১ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ফিরে গেলে আফগান শিবিরে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করে। তবে নওরোজ মঙ্গল (১৯) অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী সে আতঙ্ক দূর করতে বেশি সময় নেননি। নবী ২ ছক্কা ও ৪ চারের মাধ্যমে ৪২ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে আফগানিস্তান ২০১০ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিাজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল। ২০১২ সালেও একইভাবে বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।