বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > বিশেষ আদালত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

বিশেষ আদালত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের প্রায় চার শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
দুই মামলায় হাজিরা দিতে বিশেষ আদালতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া।
লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘আদালতের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’
লালবাগ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্র বলেন, ‘খালেদার হাজিরাকে কেন্দ্র করে আদালতসহ আশপাশে পুলিশের প্রায় তিনশ’ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভাল রয়েছে।’
র‌্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘র‌্যাবের প্রায় ৮০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ২০ জন সশস্ত্র সদস্য সদস্য রয়েছেন।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
দুর্নীতির ওই দ্ইু মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।