বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ নির্ধারিত সময়ে বিমান না ছাড়ায় জেদ্দা বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে শত শত হাজীকে। শনিবার প্রথম ফাইট বিপর্যয়ের পর রবিবার এর মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ৬ ঘণ্টার বেশি বিমান ছাড়তে দেরি হলে যাত্রীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। এমনকি এ সময়ে সংশিষ্ট কেউ এসে খোঁজও নেয়নি হাজীদের।
সরকারি হজ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্যরা জানান, রোববার সকাল ১১টায় জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফাইটে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। সে অনুযায়ী রাত ২টার সময় মক্কা হজ্ব মিশন থেকে তাদেরকে জেদ্দা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে গাড়িতে নেয়া হয়। ভোর রাতে সেখানে পৌঁছানোর পর জানানো হয় যে, বাংলাদেশ থেকে এখনও বিমান না আসায় যথাসময়ে ফাইট ছাড়বে না। পরে ওই ফাইট শিডিউল ঘোষণা করা হয় রাত ৭টা ৪০ মিনিটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, শিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকতে না পেরে নারী-বৃদ্ধসহ পাঁচ শতাধিক হাজী দিনভর চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে অপোর প্রহর গোনেন। এ সময় হজ্ব মিশন বা বিমান কর্তৃপরে কোনো খোঁজ মেলেনি। হজ মিশনের দায়িত্বশীলরা বলেন, তাদের দায়িত্ব বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া। বাকি সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব বিমানের।
এদিকে জেদ্দা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা ওলিউর জানান, কি কারণে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় তা তাদের জানা নেই। তবে একটি ফাইট বিপর্যয় হলে তার প্রভাব পরবর্তীগুলোতেও পড়ে।
শনিবার প্রথম ফাইট কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। একই ভাবে রবিবার রাত ১টার ফাইট জেদ্দা বিমানবন্দর ত্যাগ করে সকাল সাড়ে ৯টায়।