রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিবি’র চাপ, দেনা পরিশোধে বাধ্য হলো ব্র্যাক ও এবি ব্যাংক

বিবি’র চাপ, দেনা পরিশোধে বাধ্য হলো ব্র্যাক ও এবি ব্যাংক

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ গ্রাহকের হয়ে ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি দিয়ে অর্থ পরিশোধে গড়িমসি করছিলো বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও এবি ব্যাংক লিমিটেড। ১৬৫ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েও ব্যাংক দুটি তা পরিশোধ না করার ফন্দিফিকির করছিলো বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র।

সূত্রমতে, এই দুই ব্যাংকের কাছে সিটি ব্যাংকের পাওনা ছিলো ১৬৫ কোটি টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের চাপের কারণে অবশেষে পুরো অর্থই পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিটি ব্যাংকের কাছে মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল ১৬৫ কোটি টাকা ঋণ আবেদন করে গত বছর। গত বছরই স্বল্প মেয়াদের ভিত্তিতে এই ঋণ দিতে রাজি হয় সিটি ব্যাংক। তবে গ্রাহকের হয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি চায় সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সিটিসেল তখন ব্র্যাক ব্যাংকের কাছ থেকে ১২৭ কোটি টাকা ও এবি ব্যাংকের কাছ থেকে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার গ্যারান্টিপত্র নিয়ে সিটি ব্যাংকের কাছে জমা দেয়।

সূত্র বলছে, দুই ব্যাংকের ব্যাংক গ্যারান্টি মূল্যায়ন করে স্বল্প মেয়াদে ১৬৫ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শর্তহীনভাবে গ্যারান্টিপত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংক গ্রাহকের হয়ে যেকোনো সময় ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে রাজি হয়ে লিখিত অঙ্গীকার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, সিটি ব্যাংকের ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় সিটিসেল। এরপর ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের কাছে অর্থ পরিশোধের তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয় সিটি ব্যাংক। কিন্তু দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির পরও ব্র্যাক ব্যাংক তার দায়ের ১২৭ কোটি টাকা ও এবি ব্যাংক ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করছিলো না। শেষ পর্যন্ত বিষয়টির সুরাহা চেয়ে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের সহায়তা চায়।

সূত্র জানিয়েছে, অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও গ্রাহকসেবা বিভাগের কাছে পাঠায়। গ্রাহকসেবা বিভাগ অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংককে চিঠি দেয়।

এরপরও টানবাহানা করছিলো ব্যাংক দুটি। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠিতে বলে, অর্থ পরিশোধ না করলে ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংককে জরিমানা করা হবে। এতেই টনক নড়ে ব্যাংক দু’টির। গত ১২ মে এবি ব্যাংক এবং গত রোববার ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের দায় পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানায়।

গ্যারান্টির শর্ত থেকে জানা গেছে, সিটিসেলে দায় সিটি ব্যাংক যখন চাইবে তার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করে দেওয়ার কথা ছিলো ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মধ্যস্থতায় ব্র্যাক ব্যাংক ও এবি ব্যাংক সিটি ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম