শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিবাহ নিবন্ধন ফি বাড়ানো হচ্ছে

বিবাহ নিবন্ধন ফি বাড়ানো হচ্ছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন ফি থেকে করবহির্ভূত রাজস্ব বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আরও কিছু সময় নেবে সরকার। তার আগে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে এর আইনগত দিকগুলো পর্যালোচনা করা হবে, যাতে কোনো পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা রসিকতা করে বলেন, যারা এখনও বিয়ে করেননি, তাদের জন্য বিষয়টি কিছুটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। তবে কী পরিমাণ ফি বাড়বে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
সূত্র জানায়, বিবাহ নিবন্ধন ফি দীর্ঘদিন ধরে বাড়েনি। বর্তমানে সরকারের মোট রাজস্বের ১১ শতাংশ করবহির্ভূত রাজস্ব থেকে পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এ হার আরও বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশে এ খাতে রাজস্ব পাওয়ার হার অনেক কম। ফলে এ খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা-১৯৭৫ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০২ সালের ১ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মোহরানার প্রথম এক হাজার টাকার ৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোহরানার ২৫ শতাংশ, তবে অনধিক দুই হাজার টাকা আবশ্যিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হতো।২০০২ সালে ওই বিধান বাতিল করে বার্ষিক হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিকাহ রেজিস্ট্রাররা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দিচ্ছেন। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে সময় বিপুলসংখ্যক নতুন বিবাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা সবাই ছিলেন তৎকালীন সরকারদলীয় লোক। দলীয় লোকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্যই সে সময়কার সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় কমে গিয়েছিল।
সূত্র জানায়, বিবাহ রেজিস্ট্রারদের লাইসেন্স ফির বিদ্যমান হার ১৯৯৭ সালে নির্ধারণ করা হয়। সে কারণে প্রতিটিবিবাহ নিবন্ধন ফি এবং নিকাহ রেজিস্ট্রারদের বর্তমান ফি পুনর্র্নিধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান ফি বহাল রেখে এ খাত থেকে কীভাবে রাজস্ব বাড়ানো যায়, তা চূড়ান্ত করতে আইন ও বিচার বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।