সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি ॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। উপজেলার পিংনা, পোগলদিঘা, ভাটারা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারী বরাদ্ধ না থাকায় তা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের কোন কার্যকর তৎপরতা নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিংনা ইউনিয়নের ডাকাতিয়া মেন্দা, নলসন্ধ্যা, পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা, গোবিন্দ পটল, টাকুরিয়া, বিন্যারফৈর, মালিপাড়া, গাছ বয়ড়া, দামোদরপুর, ভাটারা ইউনিয়নের চর হরিপুর মধ্য পাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। কয়েকদিনে পিংনার ৫০নং ডাকাতিয়া মেন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি ভবনসহ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের ২১৬জন শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা সর্বশান্ত হয়ে কোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পোগলদিঘা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা সামান্য সহায়সম্বল নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিলেও প্রশাসন তাদের খোজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। ভাটারা ইউনিয়নের চর হরিপুর মধ্য পাড়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানাগেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের কোন বরাদ্ধ না থাকায় ক্ষতি গ্রস্থরা তীব্র ক্ষোভ ও অশোন্তষ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ৫০নং ডাকাতিয়া মেন্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি ভবন নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন। বাজেট না থাকায় কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছেনা।
বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ