শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > বিদেশী ব্রোকারদের জন্য পুনঃবীমায় নীতিমালা হচ্ছে

বিদেশী ব্রোকারদের জন্য পুনঃবীমায় নীতিমালা হচ্ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুমোদন ছাড়াই দেশে রি-ইন্স্যুরেন্সের (পুনঃবীমা) ব্রোকারেজ ব্যবসা করছে কিছু বিদেশী প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পুনঃবীমা প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে। প্রতি বছর এদের মাধ্যমেই স্থানান্তর হচ্ছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রিমিয়াম। এ ব্যবসার জন্য সম্প্রতি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

দেশে ব্যবসারত পুনঃবীমার ব্রোকারদের কোনো নিবন্ধন নেই। এ অবস্থায় আইডিআরএ তাদের লাইসেন্স প্রদান এবং তা নবায়নে ফি নির্ধারণ করে দিতে যাচ্ছে। এছাড়া কী পরিমাণ পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের অর্থ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে, তাও জানাতে হবে আইডিআরএকে। আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘নীতিমালা না থাকায় পুনঃবীমা ব্রোকারদের নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তাই বীমা খাতের স্বার্থে এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করব।’

বাংলাদেশে সক্রিয় বিদেশী পুনঃবীমা ব্রোকারগুলোর মধ্যে অন্যতম লন্ডনভিত্তিক কোম্পানি টাইজার্স রিস্ক। রাজধানীর গুলশানে এর বিলাসবহুল কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া উইলিস লন্ডন, সেজুয়িক, এআরএল মালয়েশিয়া ও ভারতের কিছু কোম্পানি বাংলাদেশে এ ব্যবসা করছে। এঅন নামের একটি পুনঃবীমা ব্রোকারের সঙ্গে ব্যবসা করত সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ কয়েকটি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমানে ওই কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। এঅনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ঘুষ ও উপঢৌকন দিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। এ কারণে এ কোম্পানিকে সাড়ে ১৭ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের পুনঃবীমা বাজার টাইজার্স রিস্কের নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি কিছু বীমা কোম্পানির সার্ভেয়ার হিসেবেও কাজ করছে কোম্পানিটি। আইডিআরএ চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিজে এলিয়ট লিখেছেন, বাংলাদেশে পুনঃবীমার নিবন্ধিত ব্রোকার হতে আগ্রহী তাদের প্রতিষ্ঠান। চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে লয়েডস মার্কেটে ব্রোকার হিসেবে কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ বেসরকারি কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে তাদের পক্ষে কাজ করছে টাইজার্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।

ঝুঁকির পরিমাণ ১ থেকে ৩ কোটি টাকার বেশি হলে সাধারণ বীমা করপোরেশন তা বিদেশী কোম্পানিতে স্থানান্তর করে। সাধারণ বীমা করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সঙ্গে ১০টি কোম্পানি ৫০ শতাংশ পুনঃবীমা করছে এবং বাকি ৫০ শতাংশ করছে বিদেশে। ৩২টি কোম্পানি তাদের শতভাগ পুনঃবীমা করছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সঙ্গে। একটি কোম্পানি তাদের মোট ঝুঁকির ৭৫ শতাংশ পুনঃবীমা করছে করপোরেশনের সঙ্গে এবং ২৫ শতাংশ করছে দেশের বাইরে।

দেশের বাইরে ৫০ শতাংশ পুনঃবীমা করা কোম্পানিগুলো হলো— ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা, প্রগতী, ইল্যান্ড, পাইওনিয়ার, নিটল, তাকাফুল, ফিনিক্স, রিলায়েন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স ও বিদেশে ২৫ শতাংশ পুনঃবীমা করা কোম্পানি পিপলস ইন্স্যুরেন্স।