শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ

বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কঠোর আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানী রিয়াদের দরিদ্র মানুষদের এলাকা বলে পরিচিত মানফুহা এলাকায় শনিবার এ সংঘর্ষ হয়। আকামা শেষ হয়ে যাওয়া বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর এ সংঘর্ষ হলো।
সৌদি আরবের স্থানীয় নাগিরকরা তাদের ব্যক্তিগত তদারকিসহ গৃহস্থালি এবং অন্যান্য সব কাজের জন্য বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। বিদেশি শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, তাদেরকে দিয়ে সৌদিরা সব কাজ করিয়ে নিলেও তাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে স্থানীয় আরবরা। অমানুষিক কষ্ট করার পর ধন্যবাদ পাওয়ার বদলে তাদের ভাগ্যে জোটে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার।
সৌদি সরকার সম্প্রতি নতুন শ্রমিক আইনের অজুহাতে যেসব বিদেশি নাগরিকের হাতে দেশটি গড়ে উঠেছে তাদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন শুরু করেছে। এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান বিদেশি শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটে পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস এবং রাবার বুলেট। পুলিশি হামলায় বহু লোক আহত হয় এবং বহু শ্রমিককে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
রাতের বেলা অনুষ্ঠিত এ সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা পুলিশি হামলার মুখে দিগি¦দিক পালিয়ে যায় এবং অনেকে নিজেদের লুকিয়ে রেখে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।
সৌদি পুলিশ বিক্ষোভের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছু বিদেশি শ্রমিক পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে।
এর আগে গত বুধবার পুলিশি অভিযানে ইথিওপিয়ার একজন নাগরিক নিহত হওয়ার পর দেশটির সরকার এ কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়, সৌদি আরব থেকে নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সে। ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিনা মুফতি শনিবার বলেন, যারা আকামা নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
‘অবৈধ’ শ্রমিকদেরকে তাদের আকামা নবায়ন অথবা সৌদি আরব ত্যাগের জন্য রিয়াদ যে সাত মাসের সময় দিয়েছিল তা গত সোমবার শেষ হয়ে যায়। এ সাত মাসে হাজার হাজার শ্রমিক শুধুমাত্র বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এখন বহু বিদেশি শ্রমিক বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তারা তাদের কাগজপত্র নবায়ন করতে পারেননি।
ফিলিপাইনের যেসব নাগরিক দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা ম্যানিলায় ফিরে তাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। ৪৬ বছর বয়সী আমোর রোক্সাস জানান, ‘তারা (সৌদি মালিকরা) আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করে।’