সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিদায়ী বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে

বিদায়ী বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বিদায়ী বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮০৭ কোটি ডলার। রিজার্ভ বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা নতুন বছরেও অব্যাহত রয়েছে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতেও রিজার্ভ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে আগের মোট রিজার্ভের সঙ্গে যোগ হয়ে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১২ কোটি ডলার। গত ১৯শে ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর বছরের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত রিজার্ভ হয় এক হাজার ৮০৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের (২০১২) চেয়ে পাঁচ হাজার ৭১২ কোটি ডলার বা ৪১.৭৪% বেশি।

২০১২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৫ কোটি ডলার। এর আগে ২১শে অক্টোবর রিজার্ভ এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। একই বছরের ৭ই মে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫০০ কোটি। জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৫৩১ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার। সে হিসাবে প্রথম ৬ মাসে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ে ২০.১০%। পরবর্তী ৬ মাসে তা বেড়েছে ২১.৬৪%। বর্তমানে রিজার্ভের দিক থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর চেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানির তুলনায় রপ্তানি বাড়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতায়ও রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমাগত ডলার কিনে চলেছে ফলে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ ভাল বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন বাড়ছে। বহির্বিশ্বে আমদানি করা কিছু পণ্যের দাম কমেছে।

যার কারণে টাকার হিসাবে আমদানি ব্যয় কমেছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকরী পদক্ষেপ, রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আয়, ইতিবাচক রপ্তানি বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে চালের আমদানি হ্রাস এবং জ্বালানি তেল আমদানিতে আইডিবি’র ঋণ সহায়তায় আমদানি ব্যয়ের চাপ হ্রাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কারণ এ রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।