শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ‘বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সাবেক বিচারপতি খায়রুলকে’

‘বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সাবেক বিচারপতি খায়রুলকে’

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, অবসরের ১৬ মাস পর রায় লিখে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এই গুরুতর অপরাধের জন্য একদিন বাংলাদেশের মাটিতে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অবসরের পর রায় লেখা বিচার ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সভার আয়োজন করে।

মওদুদ আহমদ বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর ওপর ২০১১ সালের ১০ মে শর্ট অর্ডার (সংক্ষিপ্ত রায়) দেন। ওই সংক্ষিপ্ত রায়ে তিনি বলেছিলেন, ‘পরবর্তী দশম ও একাদশ সংসদের নির্বাচন জাতীয় স্বার্থে এবং জনগণের কল্যাণের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দেয়া একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এবিএম খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর ওপর যে রায় দেন তাতে সুপ্রিমকোর্টের ৭ জন বিচারপতির মধ্যে ৩ জন বিচারপতি একমত হননি। এই বিষয়ে শুনানিকালে (তৎকালীন) প্রধান বিচারপতি যে ৮ জন সিনিয়র আইনজীবীর মতামত নিয়েছিলেন তার মধ্যে ৭ জনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানসম্মত বলে মতামত দিয়েছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সংক্ষিপ্ত রায় দেয়ার ৭ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২০১১ সালের ১৭ মে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক অবসরে চলে যান। অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায়ের আদেশে বিচারপতি আগেকার ঘোষণার ওই অংশটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে দিলেন। একজন প্রধান বিচারপতি কিভাবে তার নিজের ঘোষিত রায়ের পরিবর্তন করে দিতে পারেন?

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ওই রায়ের (পূর্ণাঙ্গ) মাধ্যমে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক শুধু সংবিধানই লঙ্ঘন করেননি, তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হয়ে একটি চরম অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছেন। একদিন বাংলাদেশের মাটিতে এই গুরুতর অপরাধের জন্য অবশ্যই তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

মওদুদ আহমদ বলেন, অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারকের রায় লেখার এখতিয়ার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি গুরুতর সাংবিধানিক প্রশ্ন উঠে এসেছে, যা বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বিএনপি তথা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।এজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাই জোটের মধ্যে, নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখতে হবে,যেন কোনো বিভেদের সুর না থাকে।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।