শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > বিক্ষোভে গ্রেফতার মেয়ে, নিজেকে গর্বিত পিতা বললেন নিউইয়র্কের মেয়র

বিক্ষোভে গ্রেফতার মেয়ে, নিজেকে গর্বিত পিতা বললেন নিউইয়র্কের মেয়র

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের ঘাতক পুলিশ সদস্যের বিচার ও বর্ণবাদী বৈষম্যের অবসানের দাবিতে টানা ষষ্ঠদিনের মতো বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল দে ব্লাসিওর কন্যাকে গ্রেফতার করেছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে মেয়ের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেয়র বিল দে ব্লাসিও। গত রাতে ফ্লয়েড বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হওয়ায় মেয়ের জন্য নিজেকে গর্বিত পিতা মনে করেন বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র।

২৫ বছর বয়সী মে চিয়ারার কথা বলতে গিয়ে মেয়র বিল ব্লাসিও বলেন, সে এই পৃথিবীতে শুধু ভালো কাজগুলোই করতে চায়। মেয়ে চিয়ারার মা একজন আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ।

‘আমি তাকে নিয়ে গর্বিত। সে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। সে সবকিছুই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের চেতনা থেকেই করেছে। সে যেভাবে কথা বলতে চায় আমি তাকে সেভাবেই কথা বলতে দেব।’

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে, তার অধিকাংশই শান্তিপূর্ণ।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রেস্টুরেন্টের বাইরে জাল মুদ্রা দিয়ে সিগারেট কেনার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন তাকে একটি স্টোরের সামনে আটকের পর এক পুলিশ সদস্য তার কাঁধে হাঁটুচাপা দিয়ে রাখে প্রায় পাঁচ মিনিট।

হাতকড়া পরা ফ্লয়েডকে উল্টো করে মাটিতে শুইয়ে হাঁটুচাপা দিয়ে রাখা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ এই তরুণ এক সময় পুলিশের হাঁটুর নিচেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বাঁচার শত আকুতিকে পাত্তাই দেয়নি পুলিশের ওই সদস্য। ফ্লয়েডের এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মার্কিনিরা। বর্ণ, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলেই নেমে এসেছেন রাস্তায়, সবার এক দাবি বর্ণবাদের অবসান এবং ফ্লয়েডের ঘাতক পুলিশ সদস্যের কঠোর সাজা নিশ্চিত করা।

বিক্ষোভের দাবানলে পুড়তে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০টি শহরে কারফিউ জারি ও সিক্রেট সার্ভিসের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হলেও আরও কঠিন অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছে বৈষম্যবিরোধী এই বিক্ষোভ; যে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তেরও হাজার হাজার মানুষ।

সূত্র : বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস।