বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > ‘বিকল্প পদ্ধতিতে’ মূল্যায়নের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অবরোধ

‘বিকল্প পদ্ধতিতে’ মূল্যায়নের দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অবরোধ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

রোববার বেলা ১১টার পর শাহবাগ মোড়ের সড়ক আটকে অবস্থান নেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মেডিকেল ও ডেন্টালের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- করোনার পরিস্থিতিতে (বন্ড সিগনেচার দিয়ে) প্রফেশনাল পরীক্ষা না নেয়া, প্রাইভেট মেডিকেলে ৬০ মাসের বেশি বেতন নয় এবং সেশনজট কমাতে অনলাইন ক্লাস জোরদার করা।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে তারা সেশনজটে পড়ে যাচ্ছেন। এ জন্য করোনাকালে তারা পরীক্ষায় বসতে চান না। তাই এবার বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন চান তারা।

আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) শর্তানুসারে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নকালে ৬০ মাসের বেতন পরিশোধ করবে। সেক্ষেত্রে করোন মহামারীর কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও বেতন আদায় করা এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হলে সেজন্য টাকা আদায় করবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বেসরকারি মেডিকেলের এক শিক্ষার্থী জানান, গত সাত মাসে ক্লাস বন্ধ থাকার পরও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশের পর প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ভাতা পরিশোধ করার নোটিশ দেয়া হচ্ছে।

তাই একদিকে সেশনজট অন্যদিকে অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ইত্যাদি নানা সমস্যার মধ্যে তারা পরীক্ষা দিতে চান না বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯০টা আইটেম পরীক্ষা দেয়ার পর আমরা কার্ডে বসার সুযোগ পাই। ১৮টা কার্ড দেয়ার পর আমরা প্রফে বসার সুযোগ পাই।

‘চলতি বর্ষে আমরা এ পর্যন্ত যেসব পরীক্ষা দিয়েছি, সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করে আমাদের প্রমোশন দিয়ে পরবর্তী ধাপের অনলাইন ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’