শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিএসটিআই নিজেই মানহীন!

বিএসটিআই নিজেই মানহীন!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চীনে তৈরি এক ধরনের মশার কয়েল এখন ঢাকার বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। মনে হয় যেন প্লাস্টিকের তৈরি। ওই কয়েল জ্বালালে মশা পালায়। তবে এর ধোঁয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বাসনালিতে কফ জমে, চোখ জ্বলে এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তবু এই কয়েলের বিক্রি ভালো। আপাতত মশা থেকে রেহাই মিললেও দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য যে তা নিরাপদ নয় সাধারণ মানুষকে সে তথ্য জানানোর কেউ নেই।

মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় আছে মশার কয়েলও। খামারবাড়ির ‘প্লান্ট প্রকেটশন উইং’ থেকে ‘পাবলিক হেলথ প্রোডাক্ট বা পিএইচপি’ সনদ পাওয়ার পর বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স নিয়ে ও তাদের সিল ব্যবহার করে কয়েল বিক্রি করার কথা। কিন্তু চীনা কয়েল খোদ রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে বিএসটিআইয়ের সিল ছাড়াই।

কয়েলের ক্ষতিকর অ্যালেথ্রিনে মানুষ মরে ধুঁকে ধুঁকে। কিন্তু নিম্নমানের হেলমেট ব্যবহার করে ছোটখাটো দুর্ঘটনায় নিমিষেই মৃত্যু হতে পারে মোটরসাইকেল আরোহীদের। হেলমেটও পরীক্ষা করে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বিএসটিআইয়ের। অথচ বাজারে হরদম বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের হেলমেট, যা একেবারেই নাজুক।

খাদ্যপণ্যে ভেজাল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। সেই খাদ্যপণ্যে বিএসটিআইয়ের তদারকি কতটুকু? সম্প্রতি বাংলাদেশি একটি কম্পানির গুঁড়ো হলুদ পরীক্ষা করে ক্ষতিকর মাত্রায় সিসা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-(এফডিএ)। কিন্তু ওই হলুদ বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নিয়েই বাজারজাত করত কম্পানিটি। পরে অবশ্য তড়িঘড়ি তাদের লাইসেন্স বাতিল করে বিএসটিআই। সঙ্গে আরো কয়েকটি বড় কম্পানির হলুদ পরীক্ষা করে তাতে সীসা পায়নি সংস্থাটি। কিন্তু সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকা বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ(বিসিএসআইআর) থেকে প্যাকেটজাত ও খোলা গুঁড়ো হলুদ পরীক্ষা করিয়ে তাতে ক্ষতিকর মাত্রায় সীসা পেয়েছে। প্রশ্ন হলো- মানুষ তাহলে কাকে বিশ্বাস করবে?

বিএসটিআই যেসব পণ্যের ওপর তদারকি করে সেগুলোর মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি তাদের আওতার বাইরে থাকা বহু পণ্যও মানহীন বলে অভিযোগ আছে। পণ্য কেনার সময় ওজনে কারচুপির অভিযোগও অনেক পুরনো। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক পূর্ণ করতে চললেও বিএসটিআই এখনো আছে ব্যর্থতার বৃত্তে।

২০১২-১৩ অর্থবছরে বিএসটিআই ১১৭৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। প্রতি কোর্টে গড়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বছরে ৬৫০০টি খুচরা ও পাইকারি প্রতিষ্ঠান তদারকিতে আসে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর অর্থনৈতিক সমীক্ষার হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট খুচরা ও পাইকারি দোকানের সংখ্যা ৩৭ লাখ সাত হাজার। এ হিসাবে বর্তমান হারে মোবাইল কোর্ট চললে সব প্রতিষ্ঠান এর আওতায় আনতে সময় লাগবে ৫৭০ বছর। যদিও সব দোকানে বিএসটিআইয়ের মান নির্ধারণ করা আছে- এমন পণ্য বিক্রি হয় না। অর্ধেক দোকানে একবার করে গেলেও ২৮৫ বছর লাগবে।

একবার লাইসেন্স দেওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠান সেই মান রক্ষা করে পণ্য উৎপাদন করছে কি না তা দেখাও বিএসটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেই কাজটি কতটুকু করছে তারা? জানুয়ারি পর্যন্ত আগের সাত মাসে সংস্থাটি ২৬৭টি কারখানা পরিদর্শন করেছে।

এ গতিতে চললে দেশের লাইসেন্স পাওয়া প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কারখানা দ্বিতীয়বার পরিদর্শন করতে সময় লাগবে ২০ বছর। অথচ প্রতিটি কারখানায় ছয় মাস পরপর পরীক্ষা চালানোর নিয়ম আছে।

বিএসটিআইয়ের কিছুটা উন্নতি হয় গত পাঁচ বছরে। সংস্থাটি একটি প্রকল্প নিয়ে তাদের ল্যাবরেটরি উন্নত করেছে। ফলে পণ্য পরীক্ষায় এর সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। ২৫টি পণ্য পরীক্ষায় ১৪৩টি প্যারামিটারের ক্ষেত্রে তারা ভারতের স্বীকৃতিও পেয়েছে। কিন্তু এ স্বীকৃতি যেমন দেশের রপ্তানিকারকদের কাজে আসছে না, তেমনি নতুন ল্যাবরেটরি দেশের পণ্যের মান তদারকিতে খুব বেশি ভূমিকাও রাখতে পারছে না। কারণ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সংখ্যা একেবারেই কম।

বিএসটিআইতে বর্তমানে পুরো দেশে তাদের সব পরীক্ষাগারে কর্মরত পরীক্ষকের সংখ্যা মাত্র ২৬ এবং ঊর্ধ্বতন পরীক্ষকের সংখ্যা ১৫ জন।

মানুষের প্রত্যাশা পূরণে বিএসটিআই কতটুকু সক্ষম- জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ভলান্টারি কনজিউমার ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির (ভোক্তা)’ নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকের প্রত্যাশিত সেবা দিতে বিএসটিআই ব্যর্থ। এটা তারা নিজেরাও বিভিন্ন আলোচনায় স্বীকার করেছে। তাদের সনদ দেওয়া পণ্যের মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে।’

তবে খলিলুর রহমান মনে করেন, বিএসটিআইকে ঢেলে সাজানোর জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল তা কখনোই নেওয়া হয়নি।

পণ্যের মান রক্ষায় নিবিড় তদারকির ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (সিএম) বলেন, ‘আমরা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করছি। সবার কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন বিএসটিআইয়ের লোগো দেখে পণ্য কেনেন।’

ওই পরিচালক মনে করেন, পণ্যের মান নিশ্চিত করতে সমন্বিত অভিযান প্রয়োজন। সরকার সম্প্রতি নিরাপদ খাদ্য আইন করেছে, যার আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা। ওই আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করেন তিনি।

সীমিত কার্যক্রম : পুরো বরিশালে বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) সংখ্যা একজন। আর মাঠ পরিদর্শক (সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম) দুজন। বরিশাল বিভাগে এক লাখ ৭৫ হাজার খুচরা ও পাইকারি দোকান এবং কয়েক হাজার ছোট-বড় পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আছে। তিনজন কর্মকর্তার পক্ষে ওইসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ও বিক্রি হওয়া পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই মনে করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

সারা দেশে যেমন বিএসটিআইয়ের নিবিড় কার্যক্রম নেই, তেমনি অনেক খাদ্যপণ্যও এর আওতার বাইরে। বিএসটিআইয়ের কার্যালয় আছে কেবল ছয়টি বিভাগীয় শহরে। তাদের কার্যক্রমও ওইসব শহরে সীমাবদ্ধ। অভিযোগ আছে, পণ্য পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা তাঁদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য মাঝে-মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জরিমানা করাই তাঁদের কাজ। তবে বিএসটিআই ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও রংপুরে তাদের কার্যালয় স্থাপনের প্রকল্প নিয়েছে।

তবে সংস্থাটি দাবি করেছে, ঢাকার প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক অফিস ও বিভাগীয় অফিসগুলো মোবাইল কোর্টের মাসিক কর্মসূচি প্রণয়ন করে এবং সে অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিভাগীয় জেলা সদর ও উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিএসটিআই কর্মকর্তারা মোবাইল কোর্টে অংশগ্রহণ করেন।

শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুখাদ্য বিএসটিআই থেকে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এর বেশি বয়সীদের জন্য বিদেশ থেকে বহু ধরনের শিশুখাদ্য আসছে। সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে আওতার মধ্যে নেই বলে সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে না।

দেশে ১৫৫ ধরনের পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিএসটিআই থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সনদ নিতে হয়। এর মধ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য ৬৪টি।

এ ছাড়া ৪০টি রাসায়নিক পণ্য, ১১টি পাট ও টেক্সটাইল পণ্য, ২৬টি ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক পণ্য ও ১৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে আরো বহু পণ্য।

ভোক্তা অধিকার কর্মীরা মনে করেন, খাদ্যপণ্যের সবই বাধ্যতামূলকভাবে বিএসটিআইয়ের তালিকায় আনা দরকার। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রতারণা হয় এমন সব পণ্যের ওপরই এর নিয়মিত তদারকি থাকা উচিত।

ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান মনে করেন, কোনো খাদ্যপণ্যই বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক তালিকার বাইরে থাকা উচিত নয়।

জনবল সংকটের অজুহাত : বিএসটিআই কেন যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না- এ প্রশ্ন উঠলেই কর্মকর্তাদের অজুহাত জনবল সংকট। অথচ জনবল বাড়ানো তো দূরের কথা, নিজেদের শূন্যপদগুলোই পূরণ করতে পারেননি তাঁরা। সংস্থাটির কাঠামো বা অরগানোগ্রামে জনবল বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি প্রস্তাব দেওয়া হলেও শিল্প মন্ত্রণালয় আগে শূন্যপদে লোক নিয়োগ দিতে বলেছে।

বর্তমান অরগানোগ্রাম অনুযায়ী সংস্থাটিতে পদসংখ্যা ৬০১টি। বিপরীতে জনবল আছে ৩৯৪ জন। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষক, মাঠ পরিদর্শক (সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম) ও পরিদর্শকরা (মেট্রোলজি) সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন। এ পদগুলোতেই জনবল সংকট প্রকট।

মাঠ পরিদর্শক (সিএম) পদে ৬৭টি পদের মধ্যে ৪৭ জন কর্মকর্তা আছেন। পরীক্ষক হিসেবে ৫৯টি পদের বিপরীতে জনবল আছে ২৬ জন। আর পরিদর্শকের (মেট্রোলজি) ৬৫ পদের বিপরীতে জনবল আছে ২২।

বিভাগওয়ারি হিসাবে, ঢাকা বিভাগের জন্য ১২ জন পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও ১৬ মাঠ পরিদর্শক (সিএম), চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও আটজন মাঠ পরিদর্শক (সিএম), খুলনায় তিনজন পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও চারজন মাঠ পরিদর্শক (সিএম), রাজশাহীতে দুজন পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও সাতজন মাঠ পরিদর্শক (সিএম), বরিশালে একজন পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও দুজন মাঠ পরিদর্শক (সিএম) এবং সিলেটের জন্য দুজন করে পরিদর্শক (মেট্রোলজি) ও মাঠ পরিদর্শক (সিএম) আছেন।

জনবল নিয়োগের বিষয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, সরকারের প্রচলিত নিয়মনীতি ও সংস্থার বিদ্যমান বিধিবিধানের আলোকে জনবল নিয়োগ করতে হয় বিধায় এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। সরকারের বিগত মেয়াদে সংস্থায় বিভিন্ন পদে ১৩৫ জন জনবল নিয়োগ করা হয়েছে, বর্তমানে আরো ৮৮টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এটি একটি চলমান কার্যক্রম।

কাজে আসছে না স্বীকৃতি : ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয়ে ২০১১ সালে ভারতের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বীকৃতি পায় বিএসটিআই। ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি এ অনুমোদন দেওয়ার পর ভারতের কোয়ালিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) চেয়ারম্যান বি ভেঙ্কাটারাম বাংলাদেশের কাছে স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করেন ৩১ জানুয়ারি। ফলে ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরীক্ষিত (১৪৩টি প্যারামিটার) ২৫টি পণ্য বিএসটিআইয়ের সনদে ভারতে বিক্রির সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না। ভারত বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য আবার পরীক্ষা করছে।

ভারতে পণ্য রপ্তানি করা এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানান, বিএসটিআইয়ের সনদ ভারত গ্রহণ করে না। ফলে পণ্য নিয়ে তাঁদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গড়ে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। ভারতের সরকারি ডাকের মাধ্যমে পণ্য পাঠিয়ে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার সেই প্রতিবেদন আবার সরকারি ডাকে ফেরত আসার পর পণ্য প্রবেশের অনুমতি পায়। সরকারি ডাক ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে পণ্য পাঠানো যায় না।ক.কন্ঠ