রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > বিএনপির সঙ্গে ঐক্য : যেসব শর্ত দিলেন ড. কামাল

বিএনপির সঙ্গে ঐক্য : যেসব শর্ত দিলেন ড. কামাল

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপি সরকারবিরোধী বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। বৈঠক করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বাইরে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যে যৌথ নেতৃত্ব চান খ্যাতনামা আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন। বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকে এমন কিছু শর্ত দিয়েছেন যা পালন করলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য থাকবেন।

প্রথম শর্ত হচ্ছে, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপিকে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী থাকলে তিনি সেই জোটে থাকবেন না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুটি শর্ত দেয়া হয়েছে। এসবের পাশাপাশি কোন কোন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জোট হতে পারে এ বিষয়টিও পরিষ্কার করেছেন তিনি। এর অংশ হিসেবে গণফোরামের পক্ষ থেকে সাত দফা লিখিত প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে।

জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর সরকারবিরোধী জোট গঠনে সায় দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ভোটাধিকার রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনে আপত্তি নেই তার। তবে বিএনপিকে শর্তগুলো মেনে চলতে হবে।

ড. কামাল হোসেনের তিন শর্তের বিষয় নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কোনোভাবেই আমরা (গণফোরাম) জোট করব না। বিষয়টি বিএনপিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেনের দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, জোটগতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা যাবে না। বিএনপি নিজেদের মতো করে তাদের দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার থাকতে পারে, প্রয়োজনে আইনি লড়াইও অব্যাহত রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনকে জড়ানো যাবে না। সুব্রত চৌধুরী বলেন, তৃতীয় শর্ত হচ্ছে জোটগতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া যাবে না। বিএনপি চাইলে দলগতভাবে তারেক রহমানের প্রঙ্গটি সামনে আনতে পারে।