রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের রাজাকার ভাবতে বেশি উল্লসিত

বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের রাজাকার ভাবতে বেশি উল্লসিত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের রাজাকার হিসাবে ভাবতে বেশি উল্লসিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আ.লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারি আ.লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ বর্ধিত সভা আয়োজন করা হয়।

হানিফ বলেনে, বিজয়ের মাসে বেগম খালেদা জিয়া শহিদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। আর সেই কটাক্ষ সমর্থন করে বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা বলছেন তিনি (খালেদা) নাকি একটা মহা কাজ করেছেন। আমরা অবাক হই যখন খালেদা জিয়া পাকিস্তানের মুখপাত্র হিসেবে শহিদদের নিয়ে কটাক্ষ করেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপত মুনতাসির মামুন তাঁর একটি কলামে লিখেছেন- বাংলাদেশে রাজাকার হওয়া সহজ কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে থাকা কঠিন। আজকে এসকল বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য শুনে এটাই মনে হয়েছে। এসকল বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের রাজাকার হিসাবে ভাবতে বেশি উল্লসিত হয়। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিচ্ছে।

উল্লেখ্য গতকাল মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতি সায় দিয়ে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহর চৌধুরী।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য নিয়ে সবাই ধিক্কার জানিয়েছে। দেশের মানুষের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে যতক্ষণ পর্যন্ত বেগম জিয়া এমন্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে না। ততক্ষণ পর্যন্ত বেগম জিয়ার রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।

হানিফ বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বিএনপি সরকারকে নৈতিকভাবে মেনে নিয়েছে। তাই সরকারের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন নৈতিকতা বিএনপির থাকতে পারে না।

এসময় তিনি বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারির জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে বিশ্বের দরবারে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে বাংলাদেশের জনগণের ৮০ শতাংশ শেখ হাসিনার উপর আস্থাশীল। তারা চায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাক।

মহানগর আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।