স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যত রকমের মামলা আছে তা এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে। তবে বিএনপির আগামী নির্বাচনে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। এই ধরণের রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদলে বিশ্বাস করে। কাজেই নির্বাচনে না যাওয়ার কোন কারণ নেই। এজন্য আমরা শুধু নির্বাচনে যেতে চাই। নির্বাচনের প্রহসনে অংশ নিতে চায় না কথাটাকে এভাবে নিতে হবে। আমরা একটা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। এটা কোন পাতানো খেলা নয়। অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন জনগণও চায়। যাতে জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং সবাই নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবে।
চ্যানেল আই’এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণ যাদের ভোট দিবে, তারাই জিতবে, এটাই হবে সুষ্ঠ নির্বাচন। জনগণ সেরকম একটা সুযোগ পেলে তারা আমাদেরকে নিশ্চিন্তে ভোট দিবে। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বাদে বাকি নির্বাচনগুলো নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেয়ার সময় বলা হয়ে থাকে ‘অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কিছু করবেন না’ আর এটা কি তার নমুনা। ৭০ হাজার মামলা আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ১৮ লাখ নেতাকর্মী হলো আসামি। এটা কি দায়িত্বশীল সরকারের আচরণ? গণতন্ত্র সরকারি-বিরোধী দল মিলে তো গণতন্ত্র। ২০১৪-১৫ সালের ব্যাপারটাতে বলা হয়েছে এত লোক খুন করা হয়েছে। বিএনপি বা বিশ দলের পক্ষ থেকে কোনদিন কোন বিবৃতি দিয়ে বলা হয়নি আপনারা এটা করেন। বরং বলা হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে প্রোগ্রাম করতে হবে। এখন আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রাম করতে দেন না। কোন জায়গায় কর্মীরা বিক্ষুদ্ধ কিছু এরোগ্যান্সি হিসেবে দেখাতে পারে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা যে কাজগুলো করেছে এটার প্রমাণ কী? আপনারা এটাই প্রমাণ করতে পারেন নাই আজ পর্যন্ত। আমাদের কোন নেতাকর্মী কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি যে, তারা আপনার কোন গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার অফিসে বন্দি, তার টেলিফোন ও টিভির লাইন কাটা, খাবার দিতে লোক যেতে পারে না। তখন দু’মাস আমরাও বন্দি ছিলাম। এর মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলামকে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে বোমা দেয়ার কারণে আসামি করা হলো। এই মামলা দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বোমা দিয়ে গেল তাদের পরিচয় জানা যায়নি, কিন্তু নির্দেশক কে তার পরিচয় জানা গেছে। এটা কেমন মামলা? প্রতিহিংসার রাজনীতি আগে থাকলেও এখনকার মত এত হাজার হাজার মামলা ছিল না। এটা তো প্রতিহিংসার চেয়েও বেশি জঘন্য।
বেগম খালেদা জিয়া খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, জনগণের ভোটে আমরা যদি দেশের দায়িত্ব পাই, আমরা প্রতিশোধপরায়ণ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হব না। প্রতিশোধপরায়ণের যে কষ্ট আমরা প্রতিনিয়ত ভোগ করছি, কাজেই অন্য কেউ যেন কষ্ট ভোগ না করে আমরা সেটা খেয়াল রাখব।