বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : ১৭টি শর্তে বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে আওয়ামী লীগ কোনো শর্ত ছাড়াই তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারবে।
বিএনপি জনসভা করবে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের সামনে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) মারুফ হাসান সরদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ৩ জানুয়ারি ডিএমপিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জনসভা ও জনসভায় মাইক ব্যবহারের অনুমতির আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে জনসভা ও জনসভায় মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।
শর্তাবলী
১. শুধুমাত্র বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে জনসভার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২. রাস্তা ব্যবহার না করে কিংবা রাস্তা বন্ধ না করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে স্বল্প পরিসরে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে।
৩. জনসভায় স্বল্প সংখ্যক মাইক ব্যবহার করা যাবে।
৪. বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
৫.বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাইরে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না।
৬. কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।
৭. কোনো মহল বা গোষ্ঠী যাতে নাশকতামূলক কোন কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে জনসভাস্থলে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করতে না পারে তা যথাযথ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. জনসভার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৯. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১০. জনসভাস্থল ও এর চারপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১২. বিকেল ৫টার মধ্যে জনসভার যাবতীয় কাজ শেষ করতে হবে।
১৩. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. মিছিলসহ জনসভাস্থলে আসা যাবে না।
১৫. কোনো ধরনের লাঠিসোটা/ ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১৬. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৭. অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে এর অনুমতি আদেশ বাতিলসহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত শর্তাবলী অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। বাংলামেইল২৪ডটকম