বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্নীতিতে জড়িত দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আগামী ২৯ নভেম্বর তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। বুধবার এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- সাজিন এন্টারপ্রাইজ ও মজিদ সন্স লিমিটেড।
দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, এ পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ২৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত সরকারের ৩৬ কোটি টাকা ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে গত ৩ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শওকত আকবরসহ মোট ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় দুদক।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয় ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর সেই প্রতিটি বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে আদালতে জমা দেয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।