বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বার্ধক্য জনিত কারনের পাশাপাশি নানা রোগে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন আলোচিত নেতা আগামী একাদশ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন বর্তমান জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সংসদের বিরোধীদলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ অন্যতম।
ফরিদপুর ২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এমপি সাজেদা চৌধুরী ৩ দফায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শারীরিকভাবে তিনি বেশ অসুস্থনে সাজেদা চৌধুরীর বয়স ৮২ বছর। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বয়স এখন ৮৩ বছর। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বর্তমান বয়স ৭৬ বছর। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ঠাকুরগাও -১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বয়স এখন ৭৭ বছর। এছাড়া ৭০ বছর অতিক্রম করেছেন নওগা- ৪ আসনের এমপি ও মন্ত্রিসভার সদস্য মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নাটোর-৪ আসনের এমপি মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, পাবনা-৪ আসনের এমপি এবং মন্ত্রিসভার সদস্য শামসুর রহমান শরীফ, বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা, গাজীপুর -১ আসনের এমপি ও মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত অ্যাডভোকেট রহমত আলী, শরিয়তপুর-২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এমপি শওকত আলী, ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ও স্থকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশারফ হোসেন, বাক্ষণবাড়ীয়া-১ আসন থেকে ৫ বার নির্বাচিত এমপি বর্তমানে মন্ত্রিসভার সদস্য মোঃ ছায়েদুল হক।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বর্তমান বয়স ৮৭ বছর। বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদের বয়স ৭৪ বছর।
বর্তমানে যাদের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছরের কোঠায় এবং যারা ৮০ বছর অতিক্রম করেছেন তারা শারীরিক কারনেই একাদশ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অবস্থায় নাও থাকতে পারেন। এমনটি মনে করছেন অনেকেই।
বয়স খুব বেশি না হলেও শারীরিক অসুস্থার কারনে ঢাকা -৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে জানা গেছে।