শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > বাবা আমাকে এই কুমুদিনী স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

বাবা আমাকে এই কুমুদিনী স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে বক্তব্যকালে নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আমি একবার এসেছিলাম, আমি তখন খুব ছোট্ট ছিলাম। এটি বোধহয় ‘৫৬ কিংবা ‘৫৭ সালের দিকে হবে।

আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাসহ সবাই এসেছিলেন। দীর্ঘ সময় এখানে ছিলেন।

এই স্কুল, হাসপাতাল সব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন তারা। খুব ছায়ার মতো আমার এইটুকু স্মৃতি মনে আছে। এর বেশি আমার মনে নেই।

তবে মনে আছে এই জায়গা এত সুন্দর দেখে বাবা বলেছিলেন- আমাকে এই কুমুদিনী স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। তো হোস্টেলে রেখে পড়ানো আমার মায়ের খুব একটা মনোপুত ছিল না।

এর পর ‘৫৮ সালে মার্শাল ল হয়। আমার বাবাকে জেলে নিয়ে যায়। আমাদের পড়াশোনা এমনিতেই বন্ধ। কাজেই আর আসা হয়নি। তবে ‘৮১ সালে দেশে ফেরার পর আমি অনেকবারই এসেছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মির্জাপুরের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছেন।

কুমুদিনী কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে পৌঁছেই ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু ভিআইপি অডিটরিয়ামসহ ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১৯টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর পর মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান করেন। স্বর্ণপদক প্রদানের পর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।

এ বছর যে চারবিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক দেয়া হলো, তারা হলেন- পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), নজরুল গবেষক প্রফেসর রফিকুল ইসলাম ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দীন আহমেদ।

সোহরাওয়ার্দীর পক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহেনা এবং জাতীয় কবির পক্ষে কবির নাতনি খিলখিল কাজী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে রাশেদ সোহরাওয়াদী পুরস্কার নিতে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি কিছু দিন আগে মৃত্যুবরণ করায় তার পক্ষে শেখ রেহানা পুরস্কার গ্রহণ করেন।