বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বুধবার তার এডপটেড হোম টাউন শিকাগোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণ দিয়েছেন। এসময় তিনি তার স্ত্রী ও কন্যাদ্বয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। স্ত্রী মিশেলের প্রশংসা করে এক পর্যায় কান্নায়ও ভেঙ্গে পড়েন ওবামা।এখান থেকেই ২০০৮ সালে ওবামা তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন।
ওবামা মেয়েদের প্রশংসা করে বিদায়ী ভাষণে বলেন, তোমরা স্মার্ট, সুন্দর ও চিন্তাশীল দুই তরুণী। আমি সারা জীবন যা করেছি তা তোমাদের উৎসাহে। তোমাদের বাবা হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। বাবা ওবামা মেয়ে মালিয়া ও শাসার প্রশংসা করছেন অথচ মেয়ে শাসা কিনা উপস্থিতই নেই।
বক্তৃতাকালে মিশেলের বাহুতে বড় মেয়ে মালিয়া থাকলেও ছোট মেয়ে শাশাকে দেখা যায়নি। কোথায় ছিল শাসা। শাসা কি সন্ত্রাসবাদ রোধে শক্তিশালী কোনো মিশনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। নাকি ট্রাম্পের ট্যাক্সের হিসেব নিতে কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
ইন্টারনেটে হ্যাজট্যাগ করেও ওবামার কনিষ্ট কন্যা শাসাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবার বিদায়ী ভাষণে কোথায় গেল ১৫ বছরের এই যুবতী। অবশেষে হোয়াইট হাইজের একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান শাসা তার বাবার বিদায়ী ভাষণে উপস্থিত থাকতে পারেননি কারণ তার পরীক্ষা ছিল।
বিদায়ী ভাষণ দেওয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটন তাদের শেষ ভাষণ হোয়াইট হাউজে বসেই দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা দিলেন শিকাগো গিয়ে। এই ভাষণ দেয়ার জন্য শিকাগোকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে ওবামা যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানেই শেষ করতে চেয়েছেন বলে জানিয়েন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৪৪৫তম বারের মত এয়ারফোর্স ওয়ান নামক বিমানটিতে করে শিকাগোতে যান ওবামা। তার সাথে ছিলেন স্ত্রী মিশেল ওবামা বড় মেয়ে মালিয়া ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
ভাষণের শেষ ভাগে স্ত্রী, কন্যা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন-সহ তার প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দেন ওবামা। প্রায় ২০ হাজারের মতো দর্শক সরাসরি সামনে বসে এই ভাষণ দেখেন।
সূত্র: সিএনএন