বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ার দায় ভারতের!

বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ার দায় ভারতের!

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
দু’দিন পরেই ভারত পৌঁছাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ এখনও কাটেনি দুই দেশের বাণিজ্য জট। এর দায় পুরোপুরি ভারতের ওপরই চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত পাঁচ বছরে আটবার সাক্ষাৎ হয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রতিবার সাক্ষাতের আগেই ডানা মেলেছে নানা গুঞ্জন। আলোচনায় এসেছে বহুল প্রতিক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি। কিন্তু প্রতিটি সাক্ষাতেই বিস্তর কোলাকুলি, করমর্দন হয়েছে। ‘বন্ধু, বন্ধু’ করে মুখে ফেনা তুলেছেন দুই নেতাই। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটা। প্রতিবার সাক্ষাতের পরে এক দেশ আরেক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক চাপিয়েছে, বাদ দিয়েছে বিশেষ সুবিধাগুলো।

তবে এর জন্য ভারতকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটা ভারত সরকারেরই ব্যর্থতা। তারা আমাদের সমানভাবে বাজার খুলে দিতে পারেনি। সেটা না হলে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে আগের সব সুযোগ-সুবিধা (জিএসপি) ফিরিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাণিজ্য চুক্তির বল ভারতের কোর্টে ঠেলে দিয়ে তিনি বলেন, এসব নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। কিন্তু বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কোনও ঘোষণা হবে কি না, তার পুরোটাই নির্ভর করছে ভারত কতটা করবে তার ওপর।

ভারত এবারের বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে বলে দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের। এছাড়া ভারতের রক্ষণশীলতাও বাধা হয়েছে দাঁড়িয়েছে বাণিজ্য চুক্তিতে। মতপার্থক্য বেড়েছে ই-কমার্স, ডিজিটাল ক্ষেত্রেও। ভারতের যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র নিজেরা ছাড় না দিয়ে বাণিজ্যের পরিধি বাড়াতে চাইছে। আর মার্কিন কর্তাদের মত, বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারসাম্য দরকার। এর জন্য অনেক বাধা কাটাতে হবে। কিন্তু ভারত এখনও তার ধারেকাছে যেতে পারেনি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত বাজেটে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু পণ্যে বাড়তি আমদানি শুল্ক বসিয়েছে ভারত। অ্যামাজনের মতো মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গরু আমিষ খাওয়ায় তাদের দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি করা যাবে না বলে দাবি তুলেছে আরএসএসের স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।

মোদি সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারত তাড়াহুড়ো করে কোনও চুক্তি করবে না। কারণ এর ওপর সাধারণ মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্ন জড়িত। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে এসবের। তাই ধীরেসুস্থে মেপে মেপেই পা ফেরবেন তারা। আনন্দবাজার।