শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > বাগেরহাটে ২২টি মোবাইল উদ্ধার, প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর

বাগেরহাটে ২২টি মোবাইল উদ্ধার, প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর

শেয়ার করুন

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ২২টি মোবাইল ফেরত পেয়েছেন প্রকৃত মালিকেরা। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার কে, এম আরিফুল হক উদ্ধারকৃত এসব মোবাইল প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসান, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাসিব ইকবাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে,এম আজিজুল হক, পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক ও পুলিশ মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা এস,এম আশরামুল আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন এলাকায় হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোনের জন্য করা সাধারণ ডায়েরী সূত্রে এসব মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও হারানো মুঠোফোন পেয়ে খুশি মালিকরা।
মোবাইল ফেরত পাওয়া বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার জাহিদ শেখ বলেন, মেয়ের অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল ফোনটি কিনে দিয়েছিলাম। গত ইউপি নির্বাচনের সময় ফোনটি হারিয়ে যায়। ফোনটি ফিরে পেয়ে আমি খুশি। এ জন্য আমি বাগেরহাট পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
রামপাল উপজেলার সবুজ খান নামের মোবাইল ফেরত পাওয়া এক মালিক বলেন, মোবাইলের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। বন্ধুর পরামর্শে থানায় জিডি করেছিলাম। চারমাস পরে আজ ফোন ফেরত পেয়েছি। পুলিশের প্রতি আমি সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ।
মোংলা এলাকার জয়নব বিবি বলেন, ৫ মাস আগে আমার স্বামীর মুঠোফোন হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরে না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল কল দিয়ে জানানো হয়েছে যে আমাদের ফোন পাওয়া গেছে। হারানো মুঠোফোন আজ হাতে পেলাম। আমরা খুব খুশি পুলিশের এই তৎপরতায়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের জিডির সূত্র ধরে আমরা ২২টি মোবাইল উদ্ধার করেছি। এইসব মোবাইল প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যহত থাকবে। তবে তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান মুঠোফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষদের অধিক সচেতন থাকার আহ্বান জানান ।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমন ও মানুষের সেবা দানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।