বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে প্রায় ২০০ নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এসে অবস্থান নেন।
সকাল ১০টা থেকেই কার্যালয়ের অদূরে স্কাউট মার্কেটের পাশে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে বৃষ্টি এবং পরবর্তীতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকায় তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া থেকে বিরত থাকেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান নিয়েছেন।
কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপির নেতারা
ছাত্রদলের এই অবস্থানের ফলে কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ রয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা। তাদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, ছাত্র দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহিন প্রমুখ রয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কাউন্সিল বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা বলছেন, আজকের আলোচনায় তারা স্পষ্ট সমাধান পাননি।
মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়নি
কাউন্সিল উপলক্ষে সকাল থেকে ছাত্রদলের মনোনয়নপত্র বিতরণের কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা শুরু হয়নি।
জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা চলমান। যে কারণে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা কার্যালয়ে অবস্থান করলেও মনোনয়ন বিতরণের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কার্যালয়ের বাইরে থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মী ও দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম আলোচনা প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ, ইখতিয়ার কবির এবং মামুন বিল্লাহর সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।
সিনিয়র নেতারা বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে এবং তাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তাদের সঙ্গে আর আলোচনা না করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন, আগে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং আজকের মনোনয়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সমাধান হয়নি।