শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > বাংলালায়ন নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে

বাংলালায়ন নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন আবারও গ্রাহকদের দুর্ভোগে ফেলেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কানেকশন পেতে সমস্যায় পড়েন বাংলালায়ন গ্রাহকরা। অনেকেই অভিযোগ করেন, সকাল থেকে কোনো ওয়েবসাইট পুরো লোড হচ্ছে না। পরে সকালে বাংলালায়ন একটি এসএমএস পাঠায়। এসএমএসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো:

: Dear Customer, Due to technical difficulties you might face connectivity delay. We shall notify instantly after problem is solved.Thanks for being with us. Banglalion

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যার কারণে বাংলালায়ন তাদের কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নম্বরে (০১১৯৮৯৮৯৮৯৮) ফোন করলে বারবার ব্যস্ত পাওয়া যায়।

তবে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন বাংলালায়ন নেটওয়ার্ক কয়েকদিন পরপর সমস্যা করে। আবার সমস্যার সমাধানে কাস্টমার কেয়ারের ফোনে কোনো সমাধান পাওয়া যায় না।

আমিনুল ইসলাম নামের একজন বাংলালায়ন ইউজার জানান, জুনের ১৪-১৫ তারিখ ১৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট ছিলনা। ১৭ ঘণ্টা বলতে তো ১ দিন ই প্রায়। এরপরে জুনের ১৮ তারিখে ৯ ঘণ্টা ইন্টারনেট ছিলনা। কি পরিমান অসহ্যকর পরিস্থিতি তা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলা লাগবে না। ওদের ফেসবুক পেজ এ গেলে দেখতে পেতেন মানুষের গালাগালির শব্দভাণ্ডার ও শব্দচয়ন কত ব্যাপক।

তিনি এ ব্যপারে ব্লগে লিখেছেন, আমাদের এখানে কনজিউমার রাইটস প্রোটেকশান সম্পর্কে মানুষ ভালভাবে অবগত না হওয়ায় এতদিন বাংলালায়ন কোম্পানি টি মনের সুখে ব্যাবসায় পরিচালনা করে যাচ্ছিল। উন্নত বিশ্বে এই সমস্ত উপায়ে ব্যাবসায় করতে গেলে তাদেরকে প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়তে হত। মামলার পর মামলা সামলাতে হিমশিম খেতে হত। কিন্তু বাংলাদেশ ও যে উন্নত হচ্ছে এটা বোধহয় তারা টের পাননি। বাংলাদেশের মানুষ যে ইন্টারনেট এর শুবাদে এখন কাস্টমার হিসেবে অনেক ইনফরমড আর এম্পাওয়ারড এটা তাদের শত চেষ্টায়ও ঠেকানো যায়নি।

বাংলালায়ন গত মাসে ঠিক যেন এক মুমূর্ষু রোগী। মনে হচ্ছিল যেন কোম্পানিটি বার্ধক্যে উপনিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। প্রথমেই জুনের ১ তারিখ রাতে সাড়ে বারোটার দিকে তাদের একটি আউটেজ শুরু হয়। স্বভাবতই তাদের ২ টি হেল্প লাইনে ফোন করে কোন লাভ হয়নি।এর মাঝখানে আমি একবার তাদের কাছে কম্পেনসেশান দাবী করে একটি ইমেইল পাঠিয়েছিলাম। ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি তে একটি রিপ্লাই আসল যার সারমর্ম হল “আমরা সরি। বেশি প্রব্লেম হইলে আওয়াজ দিয়েন।” লোকটার ইংরেজি দেখলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবেন গ্যারান্টি দিলাম।

এখন জুলাই মাসে বাংলালায়ন কাস্টমারদেরকে জুন মাসের কম্পেনসেশান দিচ্ছে। সেটি হচ্ছে ৮-৯ জুলাই ব্যান্ডউইডথ ২৫% বেশি হবে। ওদের ফেসবুক পেজ আর #নধহমষধষরড়হ এ দেখি হঠাত করে সবাই স্যাটিসফাইড কাস্টমার।

তাদের ভাষ্যমতে এটি হচ্ছে শুধু ১৪ এবং ১৮ তারিখের জন্য কম্পেনসেশান। একটা কথা বলে রাখি, জুন মাসে ওদের উপর রেগে মেগে যদি লাইন ছেড়ে দিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি কোন কম্পেনসেশান পাচ্ছেন না।তো, ৪৮ ঘণ্টার ২৫% ব্যান্ডউইডথ = ১২ ঘণ্টার ১০০% ব্যান্ডউইডথআর ওদের আউটেজ ছিল ২৬ ঘণ্টার (১৪ তারিখ ১৭ ঘণ্টা আর ১৮ তারিখ ৯ ঘণ্টা)।তবে বলুন যে ১২ ঘণ্টার কম্পেনসেশান দিচ্ছে তার জন্য খুশি হবেন না যে ১৪ ঘণ্টার কম্পেনসেশান দিচ্ছে না তার জন্য ুব্ধ হবেন?

প্রসঙ্গত, বাংলালায়ন নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। বাংলাদেশে এখন বেশ কয়েকটি ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি বাংলালায়ন। দিন দিন গ্রাহক বাড়লেও তাদের সেবার মান বাড়েনি। বেড়েছে চরম ভোগান্তি। এখন গ্রাহকরা বাংলালায়নের ব্যপারে ফুঁসে উঠছেন।

গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, বাংলালঅয়ন নিম্নমানের সেবা দিচ্ছে। কারন মাঝে মধ্যেই বাংলালায়নের নেটওয়ার্ক কানেকটেড হতে সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় কানেকটিং দেখিয়ে ফেইল্ড দেখায়। এমন অভিযোগ রয়েছে অনেকের।ভোগান্তি এখানে শেষ নয় দ্বিতীয় অধ্যায়ের ভোগান্তি শুরু হয় কাস্টমার কেয়ার লাইনে সেবার জন্য ফোন দিলে যেখানে সেবার পরিবর্তে আছে চরম ভোগান্তি সেখানে ফোন করলে একজন সেবাদান কারীর সাথে কথা বলার জন্য অপো করতে হয় ৪ থেকে ৫ মিনিট।এতে অতি প্রয়োজনীয় কাজগুলোও সময়মতো করতে বেগ পেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এভাবে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

একজন ব্লগার লিখেছেন, কোনো সমস্যায় পড়লে স্থানীয় ডিলার কোনো সাহায্য করবে না নিশ্চিত থাকেন। তাদের কাজ লাইন দেয়া। তারপর বাংলালায়নের সাইটে স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সমস্যার সমাধান নেয়ার কথা থাকলেও তারা আপনাকে রেকর্ডেড মেসেজের মতো কল সেন্টারে ফোন করতে বলবে। আর কল সেন্টারে ফোন করলে কয়েক মিনিট বসে থেকে ভাগ্য ভালো থাকলে লাইন পাবেন। কিন্তু কোনো সাহায্য পাবেন না। উল্টো মেজাজ খারাপ হবে।