সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হামলার হুঁশিয়ারি দিল আইএস

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হামলার হুঁশিয়ারি দিল আইএস

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালাতে পারে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। আইএস সমর্থিত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলায় ‘শিগগিরই আসছি’ লেখা একটি পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া আইএসের বাংলায় লেখা ওই পোস্টারের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদন বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য হামলার কথা জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আইএসের ‘শিগগিরই আসছি, ইনশাল্লাহ…’ লেখা ওই পোস্টারটি প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলায় লেখা সেই পোস্টারে মুরসালাত নামে আইএসের একটি শাখা সংগঠনের লোগো আছে। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ হামলার পর গোয়েন্দা সংস্থা এই পোস্টারটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া আইএসের বাংলায় লেখা সেই পোস্টারটি তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামাত উল মুজাহিদিনের (জেএমবি) সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। জেএমবিকে তাদের দলে সদস্য নিয়োগের জন্য কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে মাঝে মাঝেই তৎপর হতে দেখা যায়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাবুঘাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতার আরিফুল ২০১৮ সালের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এই বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা ভারতের আসামের চিরাঙ জেলায় স্থাপিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেয়ার কথা স্বীকার করে।

গত বছরের জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেফতার আইএস-জেএমবির সদস্য মোহাম্মদ মুসিরউদ্দিন একেএম মুসার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে।

মুসিরউদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ত্রিপুর জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারের পর জানা যায়, জেএমবির নেতা আমজাদ শেখের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ২০১৪ সালে বর্ধমান বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত রোববার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।