বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
‘ইইউ-বাংলাদেশ পঞ্চম বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেছেন, এর আগে চারটি সংলাপ হয়েছে। তবে সেসব সংলাপ তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এখনও অনেক বাধা রয়ে গেছে।
রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শুরু হয়েছে ‘ইইউ-বাংলাদেশ পঞ্চম বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে পঞ্চম রাউন্ডের সভায় সভাপতিত্ব করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংকসহ আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউ বিজনেস সেক্টরের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
ডায়ালগের উদ্বোধনী পর্বে রেন্সজে তেরিংক বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে আইনি সংস্কার প্রক্রিয়া এখনও জটিল। নীতি কাঠামোর অনিশ্চয়তা ও নিয়ন্ত্রকসংস্থার দুর্বল তদারকির মতো বাধাগুলো এখনও রয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে তাই ২০২১ সালের মধ্যে মানসম্মত বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।
এতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউর বাজারে এখন আমরা জিএসপি সুবিধা পাই। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে আমরা এ সুবিধা পাব না। তাই আমরা জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে চাই। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের ২৭টি কম্পোনেন্ট ফুলফিল করতে হবে। এসব কম্পোনেন্ট পূর্ণ করার ক্ষেত্রে ইইউর সহযোগিতা চাই।
এছাড়া রফতানির বাজারে বৈচিত্র্য আনতে ইইউএর সহযোগিতা চান বাণিজ্যমন্ত্রী।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় অংশীদার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইইউ দেশগুলোতে ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা হয়, যা মোট রফতানির প্রায় ৫৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশে রফতানির ক্ষেত্রে ইবিএর (অস্ত্র ছাড়া বাকি সব পণ্য) আওতায় জিএসপি সুবিধা ভোগ করছে। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোর যেসব কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যবসা করছে তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সেসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে গত ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সেগুলোই তেমন অগ্রগতি হয়নি।