শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > বাংলাদেশের ২০ প্রতিষ্ঠান এনপিএস’র আমদানিকারক!

বাংলাদেশের ২০ প্রতিষ্ঠান এনপিএস’র আমদানিকারক!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এবার জিপিও’র বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪শ’ টাকা দামের ৯৬ কার্টন ভর্তি ১ হাজার ৫৮৬ কেজি ৩৬ গ্রাম নতুন মাদক এনপিএস বা খাত জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার সিআইডির হোমিসাইডাল ও সিরিয়াস বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট মাদকের চালানটি জব্দ করে।

মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহআলম।

তিনি বলেন, ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে ইথিওপিয়া থেকে দেশে এসেছে। দেশের ২০ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এ মাদক আমদানির সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের সনাক্তসহ আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

ডাক বিভাগের কেউ জড়িত কি না- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বলা যাবে। মাদক জব্দের ঘটনায় সোমবার মাদক আইনে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

এর আগে সোমবার সকালে বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে ২০ লাখ টাকা সমমূল্যের ১৪০ কেজি ওজনের চালান ‘এনপিএস’ এর চালান জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। এই নিয়ে ১২ দিনে ৪ বার এ নতুন মাদকের চালান জব্দ করা হলো।

গত ৩১ আগস্ট দেশে এই মাদকের প্রথম অস্তিত্ব মেলে। ওইদিন শাহজালাল বিমানবন্দর ও শান্তিনগর থেকে ৮৬১ কেজি ওজনের মাদকের একটি বড় চালান জব্দ করে ডিএনসি। এরপর গত শনিবার একই মাদকের ১৬০ কেজি ওজনের আরেকটি চালান জব্দ করে কাস্টমস হাউস ও ডিএনসি। ওই দুটি ও সোমবার জব্দ করা চালানও ইথিওপিয়া থেকে জিয়াদ মোহাম্মাদ ইউসুফ নামের একজন ঢাকায় পাঠান।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ মাদকটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে সেবন করা হয়। সেবনের পর মানবদেহে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করে। যাতে অনেকটা ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া হয়। এটি বাংলাদেশে আনা নতুন এক ধরনের মাদক। ‘গ্রিন টি’ এর মত দেখতে এটি মূলত ইথোপিয়ান ‘গাঁজা’ বা ‘খাত’ বা নিউ সাইকোট্রপিক সাবসটেন্সেস (এনপিএস)।