শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ‘বাংলাদেশের প্রাপ্য সীমান্ত চুক্তিই করেছেন মোদি’

‘বাংলাদেশের প্রাপ্য সীমান্ত চুক্তিই করেছেন মোদি’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘যে চুক্তিটা হয়েছে সেটা আমাদের প্রাপ্য। এ প্রাপ্য মোদি সরকার আমাদের দিয়েছে বলে আমরা মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করার জন্যই মোদি সরকার এ চুক্তি করেছে।

তিনি বলেন, দালালি করে সম্পর্ক ভালো করা যায় না। আর দালালি করে কোনো চুক্তিও সম্পন্ন করা যায় না। বিএনপি কারো দালালি করে না।
শনিবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যাত্রীবাড়ী থানার যে মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে সে মামলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করার জন্য আমার নামে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু বাসে আগুন দিয়ে কারা মানুষ হত্যা করেছে সেটা জনগণ খুব ভালোভাবেই জানে। এই সরকার সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও অপদার্থ বলেই আমার নামে এই বানোয়াট মামলা করেছে।
পেট্রলবোমা মেরে বিএনপি মানুষ হত্যা করছে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘পেট্রলবোমার সঙ্গে বিএনপি নয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ জড়িত। পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে আওয়ামী লীগ। আর এ সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে আছে।’
আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টায় রয়েছে। তাই সন্ত্রাসীদের জেল থেকে বের করে দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের জেলে ভরছে।’
র‌্যাবকে আবারো বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুন এবং বিএনপি নেতাদের গুম করে ফেলার মধ্য দিয়েই আবারো প্রমাণ হয়েছে র‌্যাব সরকারের আজ্ঞাবহ একটি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তাই র‌্যাবকে ব্যান করে দেওয়া উচিৎ।’
ব্রিটেনের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন ও আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের কিছু শেখার আছে। কিন্তু এই সরকার কিছু শিখতে চায় না। কারণ, জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই। কারণ তারা ভালোভাবেই জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন হয়েছে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই খুব শিগগিরই কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। পুনর্গঠনের জন্য আমি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। যারা দলের জন্য কাজ করেছে তারা এই কমিটিতে স্থান পাবে।’
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই সন্ত্রাসী ও পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করেছে। তাই বাংলাদেশকে এখন গণতন্ত্রের রাষ্ট্র না বলে পুলিশের রাষ্ট্র বলা উচিৎ।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ র‌্যাবের কাছেই আছে আর এ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তাই অবিলম্বে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এর ব্যত্যয় ঘটলে তার ফলাফল ভালো হবে না।’
বার কাউন্সিলেল নির্বাচনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নির্বাচিত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
মতবিনিময়ের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. আহমেদ আজম খান, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি আলহাজ মো. আজম আলী খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর উল্লাহ। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম