আকরাম হোসেন রিপন
চীফ রিপোর্টার ॥
অবশেষে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর পূরণ হল বাংলাদেশের ডিগ্রীধারী নার্সদের স্বপ্ন। প্রথমবারের মতো ২৪৯ জন ডিগ্রীধারী নার্সকে দশম থেকে নবম গ্রেডে বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে। এতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল উচ্চ শিক্ষিত নার্সরা। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারী করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে পদোন্নতিকৃত নার্সরা এখন থেকে জাতীয় বেতন স্কেল- ২০১৫ এর নবম গ্রেডে বেতন পাবেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী এ আদেশ জারির পর মঙ্গলবার পদোন্নতি প্রাপ্তরা প্রায় সকলেই নিজ পদে যোগদান করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এ যাবৎ সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে যোগদান করে একই পদ মর্যাদায় চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত নার্সদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও প্রাণের দাবী ছিল নিজ বেতনে নয় নিজ পদর্মাদায় চাকুরী করা। নবম গ্রেডে যেন তারা তাদের পদমর্যায় চাকুরী করতে পারেন এবং বেতন ভাতা পান। আজ তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।
পদোন্নতি প্রাপ্ত ফিরোজা বেগম জানায়, আমি আগে (নিজ বেতনে দশম গ্রেডে) সহকারী পরিচালক হিসাবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলাম এখন নবম গ্রেডে নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ফরিদপুরে যোগদান করেছি। পদোন্নতি পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি ধন্যবাদ জানাই বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং আমাদের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদারসহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সুরাইয়া বেগম ও খুলনা নার্সিং কলেজের প্রভাষক মধুসূধন চক্রবর্তী জানায়, এই পদোন্নতি আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ও প্রাণের দাবী ছিল। আজ আমরা আমাদের যথাযথ সম্মান পেয়েছি। বর্তমান সরকার সহ এর সাথে যারা সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাই। নবনিযুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালের ডিগ্রীধারী নার্সরাও জানিয়েছেন তাদের স্বপ্নের কথা; তারা মনে করেন, সিনিয়রদের এই পদোন্নতি তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নের বীজ।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার জানান, আমি মনে করি এই পদোন্নতিতে নার্সদের যোগ্যতার মূল্যায়ন হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন হবে এবং পুরণ হবে মানুষের মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্য সেবা। এ পেশায় আরো দক্ষ লোক উৎসাহী হয়ে চাকুরী করতে আসবে ফলে নার্সিং সেবার মান উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে।