শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > বাংলাদেশের আদালতে এরকম উচ্চ আলোচনা নতুন কোন বিষয় না

বাংলাদেশের আদালতে এরকম উচ্চ আলোচনা নতুন কোন বিষয় না

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় নিয়ে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। এতে করে অনেকে নানা ধরণের কথা বলছে। বাংলাদেশের আদালতে এরকম উচ্চ আলোচনা নতুন কোন বিষয় না। এর আগে (ত্রয়োদশ সংশোধনী)  অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের  জন্য নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত এবং বাতিল হয়েছিলো।

রবিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।

তিনি আরো বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী যখন বাতিল হয়েছিলো সেই সময় বিএনপি কিন্তু ক্ষুব্ধ হয়েছিলো। আজকে যেমন আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে প্রতিক্রিয়া দেখছি তখন বিএনপি’র পক্ষ থেকে ছিলো। এর আগে যখন খালেদা জিয়ার বাড়ির জন্য উচ্চ আদালত থেকে রায় দেওয়া হয়েছিলো তখনও এমন আলোচনা হয়েছে। এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে পূর্বপরিকল্পিত বলে নজিরবিহীনভাবে সমালোচনা করে (এর আগে কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের রায় নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেননি) তখন বাস্তবতা হচ্ছে তিনি কোনো ঐক্যবদ্ধ বা সর্বসম্মত রায়ের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেননি। তিনি নিজের কাস্টিং ভোট (সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য নিজের ভোটকে অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার করা) দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই রায় দেন। অথচ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের যে রায় বর্তমান প্রধান বিচারপতি দিয়েছেন, সব বিচারপতির সর্বসম্মত রায় ছিল এটি। এমনকি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ৭ জন আইনজীবীর সবাই এই রায়ের পক্ষে মত দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দেশে একটি রায় নিয়ে এত আলোচনা হতে পারে তা আগে কখনো দেখা যায়নি। এভাবে সংসদ সদস্যরা রিঅ্যাক্ট করবেন, এটা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। কারণ সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ে সংসদের হাতে ক্ষমতা রাখা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধানের আলোকে যেভাবে বিচার বিভাগ চলছে সেভাবেই চলবে। এতে কারো কোনো এখতিয়ার থাকলে সেটা আইনের আলোকেই হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। আমি বলব, যাঁরা অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকার যদি কিছু বলতে চাই তাহলে তাদের কথা প্রধান বিচারপতির কাছে বলুক। আমাদের সময়.কম