বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তিপ্রেমীদের সামনে অবশেষে উন্মোচিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন-৬। ক্যালিফের ফ্লিন্ট সেন্টারে উপস্থিত সবার সামনে হ্যান্ডসেটটির বিস্তারিত তুলে ধরেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক।
টিম কুক বলেন, আইফোন-৬’র পাওয়ার বাটন স্থাপন করা হয়েছে হ্যান্ডসেটের ডান দিকে। আর ডিসপ্লের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেটিনা এইচডি’।
হ্যান্ডসেটটির মূল ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। ক্যামেরায় নতুন সেন্সর ব্যবহারের ফলে ছবি হবে আরো প্রাণবন্ত। উভয় হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের সর্বশেষ ভার্সন আইওএস৮।
৪.৭ ইঞ্চি পর্দার আইফোন-৬ পুরুত্ব ৬.৯ মিলিমিটার। ৫.৫ ইঞ্চি পর্দার আইফোন-৬’র নাম দেওয়া হয়েছে আইফোন-৬ প্লাস। এর পুরুত্ব ৭.১ মিলিমিটার। যেখানে আইফোন-৫এস’র পুরুত্ব ছিল ৭.৬ মিলিমিটার। আইফোন-৬ প্লাস এ কাট, কপি ও পেস্ট করার জন্য আলাদা অপশন ব্যবহার করা হয়েছে।
হ্যান্ডসেটটিতে নেক্সট জেনারেশনের এ৮ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ডসেটটির চিপ আগের হ্যান্ডসেটগুলোর চিপ এ৭ এর চেয়ে ১৩ গুন ছোট।
আইফোন-৬ এ টানা ৫০ ঘণ্টা অডিও, ১১ ঘণ্টা ভিডিও এবং ১১ ঘণ্টা ব্রাউজিং করা যাবে। আর ৬ প্লাসে ৮০ ঘণ্টা অডিও, ১৪ ঘণ্টা ভিডিও এবং ১২ ঘণ্টা ব্রাউজিং করা যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি সূচনা ভিডিও দেখানো হয়। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত ও শুভ সকাল জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন টিম কুক।
বক্তব্যে টিম কুক বলেন, ৩০ বছর আগে এখানে ম্যাকিনটস কম্পিউটার উন্মোচন করেছিলেন স্টিভ জবস। আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন আজ।
ভিন্ন তিন রঙে (গোল্ড, সিলভার ও স্পেস গ্রে) পাওয়া যাবে আইফোন-৬ ও আইফোন-৬ প্লাস। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আটটি দেশে হ্যান্ডসেটটির প্রি-অর্ডার নেওয়া হবে। আর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তিপ্রেমীরা হ্যান্ডসেটটি হাতে পাবেন।
আইফোন-৬’র ১৬ জিবির চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ ডলার, ৬৪ জিবির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৯ ডলার এবং ১২৮ জিবির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৯ ডলার।
অন্যদিকে, আইফোন-৬ প্লাসের ১৬ জিবির চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৯ ডলার, ৬৪ জিবির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৯ ডলার এবং ১২৮ জিবির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৯ ডলার।
হ্যান্ডসেটটিতে ‘অ্যাপল পে’ নামে একটি নতুন পেমেন্ট প্রসেস ব্যবহার করা হয়েছে। এতে এনএফসি নামে একটি চিফ সংযুক্ত করা হয়েছে।