বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ৩০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২০ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবারের বন্যায় ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮৯ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সারা দেশে ৯৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৪ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ৩০টি জেলা বন্যা আক্রান্ত।
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ বন্যা কবলিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জের ৮৯৫৫টি পরিবারের ৩৭,৫১০ জন ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৫টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণও ১১০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি :
গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রামে ১৮ জন, লালমনিরহাটে ৬ জন, সুনামগঞ্জে ২ জন, নেত্রকোনায় ২ জন, নীলফামারীতে ৮ জন, গাইবান্ধায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, দিনাজপুরে ৩০ জন, জামালপুরে ৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জন, নওগাঁয় ৪ জন, যশোর ৩, শেরপুর ৩, মৌলভীবাজার ২, কুমিল্লা ২, সব মিলিয়ে মোট ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার লাখ ৯২ হাজার ৩৩৯টি। দুর্গত জেলাগুলোতে ৪৫ হাজার ৭৫২টি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাঁস-মুরগি মারা গেছে ৫৫টি। ২৫৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই হাজার ৭৮৯ কিলোমিটার রাস্তা, ১২৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট, ২৮০টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙামাটি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, শেরপুর ও ঢাকা জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিত।
জাগো নিউজ ডেস্ক