বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বন্যায় ভাসছে ভারতের দুই প্রান্ত। উত্তর পূর্বের আসামে ক্রমশ অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। অন্যদিকে, গুজরাটে একই পরিবারের ১৮ জন ভেসে গেল জলের তোড়ে। এই নিয়ে রাজ্যটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯।
একই পরিবারের ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তীব্র জলস্রোতে তারা ভেসে যায় বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাঁকের মধ্যে দেহগুলি পরে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বানাসকান্থা জেলা থেকে উদ্ধার করা হয় মৃতদের। এর পাশাপাশি, অন্যান্য জায়গা থেকে ১২টি দেহ উদ্ধার করা হয় বুধবার রাতে। ইতিমধ্যেই ৩৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে প্রশাসন। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৫শ মানুষকে। উদ্ধার চলছে নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে।
ইতিমধ্যেই গুজরাটের বন্যা খাতে ৫০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ রুপি ও গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে মুম্বই-দিল্লি রুটের কমপক্ষে ২০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পালানপুর, হিম্মতনগর, আহমদাবাদ, মাহসেনা রুটের প্রায় ৯১৫টি বাস রাস্তায় নামেনি। এতে প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি রুপির ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবহন দপ্তর।
অন্যদিকে, জলে ভাসছে দেশের উত্তর-পূর্ব। অরুণাচল প্রদেশ, আসামের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বিহার ও ওড়িশার বিভিন্ন জেলায়। আসামে ইতিমধ্যেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮ কোটি রুপির।
গোটা রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৭৫ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৯টি পশুর দেহ। নষ্ট হয়েছে ১০ হাজার একর জমির ফসল। লখিমপুর, ধেমাজি, নওগাঁও, গোলাঘাট, মোরিগাও ও বিশ্বনাথ জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর জল।