বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাতাসে মিশে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ফুসফুসের পাশাপাশি রক্তে মিশে যাচ্ছে। এমনকি তা পর্যায়ক্রমে মস্তিস্কেও চলে যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় সোয়া লাখ মানুষ দূষিত বাতাসের কারণে মারা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এইডস ইবোলার চেয়ে ভয়াবহ এই বিষাক্ত বাতাস। যার আক্রান্তের তালিকায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ।
বাতাসের এক মিলিমিটারেই পাওয়া যায় প্রায় ৪০০ বিষকনা। এই বিষকণা বাতাসের সাথে ¯œায়ুতে ঢুকে পরে। তারপর চলে যায় মস্তিস্কে এবং নষ্ট করে সেখানকার কোষগুলোর আন্তসংযোগ। এর ফলে মানসিক ভারসাম্যহীনতা হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, সুপার ফাইভ মাইক্রোন ধুলিকণা অত্যান্ত সূক্ষ্ম। এটা বাতাসে অনেক্ষণ যাবত ভেসে থাকতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বাতাসের উপর চালানো সর্বশেষ গবেষণার তথ্যমতে, দূষণ আর বিষাক্ততায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ১,২২,৪০০ জন। এরই মধ্যে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ৮৫ লাখ মানুষ। আরো ৭৫ লাখ ভূগছে ব্রঙ্কাইটিসে।
ইট ভাটা থেকে নির্গত ধোয়া বাতাসে মিশে বিষাক্তের পরিমাণ ৫৮ ভাগ। শিল্প কারখানার সাথে মিশছে আরো ২০ ভাগ। বাকিটা যানবাহন, রাস্তাঘাটসহ নানা উৎস থেকে ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র সদস্য সচিব ইকবাল হাবিব বলেন, আমরা পানি ছাড়াই ধুলা অপসারণের চেষ্টা করি। আমাদের পায়ে মিশ্রিত ধুলাও বাতাসের সাথে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে।
যান্ত্রিক সব উন্নয়নের উচ্ছিষ্ঠ ধুলিকণা আমারই তৈরি করছি, আবার আমরাই এর ভোগান্তিতে ভুগছি। যার ভবিষ্যত ধীর গতিতে শরীরের বিকলাঙ্গতা।
সূত্র : যমুনা টিভি