বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাঙালির সংস্কৃতি ও সক্রিয়তার অন্যতম নিদর্শন মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ এর পর্দা উঠছে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি)। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির আয়োজনে বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ এর সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
এসময় অন্যদের মধ্যে একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলা একাডেমির সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াছ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াছ কাঞ্চন, বিকাশের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মীর নওবত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জি।
জালাল আহমেদ জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বিদেশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
অংশ নিচ্ছে ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান
এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও ১৮০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে ২টি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান।
মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা
আগামীকাল বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করার পর মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখবেন। এরপর বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বাঙালির প্রাণের মেলা।
ড. জালাল আহমেদ জানান, প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রন্থমেলা উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। আর ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে গ্রন্থমেলা।
জালাল আহমেদ আরও জনান, মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো ছুটির দিনে সকাল বেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর বিকেলে সকলের জন্য উন্মুক্ত। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে শিশু কর্নার। সেখানে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে।