বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ উচ্চগতির ইন্টারনেট নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালো অপারেটর-বিটিআরসি। সেলফোনে বাণিজ্যিকভাবে তৃতীয় প্রজন্মের সংযোগ সেবা চালুর দুই মাসের মাথায় রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিফোন সংস্থা, তিনটি ওয়াইম্যাক্স সেবা অপারেটর এবং অপর একটি আইআইজি অপারেটরকে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্তে দেখা দিয়েছে বিনিয়োগ ঝুঁকি। বাজার হারানোর আশঙ্কা করছে সেলফোন অপারটররা।
এ বিষয়ে সেলফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব ইতিমধ্যেই আপত্তিও জানিয়েছে। তবে কোনো মহল থেকেই সাড়া মেলেনি জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিআই নুরুল কবীর। তিনি জানিয়েছেন, থ্রিজির জন্য প্রতি মেগাহার্টজ যেখানে দুই কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (২১০০ ব্যান্ড) নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ নিতে হয়েছে, সেখানে খুব কম দামে (২৬০০ ব্যান্ড) ওয়াইম্যাক্স অপারেটররা আরো আধুনিক প্রযুক্তিতে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সেলফোন অপারেটরদের এই সেবা চালু করতে লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী আরো তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। পরিপূর্ণভাবে বাণিজ্যিক থ্রিজি চালুর আগেই ফোরজি দেয়া হলে বিনিয়োগ ঝুঁকির পাশাপাশি বাজার হারাতে হবে।
ফলে ‘প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন অ্যামটব সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ইন্টারনেট আরো সহজলভ্য করতে নতুন বছরে বাংলা লায়ন, কিউবি, বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (বিআইইএল) , ম্যাংগো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিটিসিএল-কে ২৪৬ কোটি টাকায় থ্রিজি’র চেয়েও দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি ‘লং টার্ম ইভ্যুলুশন’ (এলটিই) লাইসেন্স দেয়ার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
লাইসেন্স দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী এই অপারেটর কেবল ডেটা সার্ভিস দিতে পারবে, কোনভাবেই ভয়েস সার্ভিস দিতে পারবে না।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিটিআরসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান মাল্টিনেটের মালিকাধীন বিআইইএলকে (ওলো নামে পরিচিত) ২৪৬ কোটি টাকা দিয়ে এলটিই লাইসেন্স ও দুই হাজার ৬০০ ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে।