বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ফেসবুক ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে যা বললেন জাকারবার্গ

ফেসবুক ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে যা বললেন জাকারবার্গ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি জার্মানি গিয়েছিলেন এক সফরে। এ সফরে তিনি ফেসবুক, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে নানা কথা বলেছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। জার্মানি সফরের সময় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান বার্লিনে অ্যাক্সেল স্পিংগার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ সময় তিনি বার্লিন নগরীকে খুব পছন্দ করেন বলেও জানান। এছাড়া ফেসবুক মিশনের সঙ্গে বার্লিনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ সম্পর্কে জাকারবার্গ জানান, তিনি বাস্তবে বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নন। এটি তার ফেসবুকের আগ্রহ থেকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে বলে মনে করেন। কিছুদিন আগেই ফেসবুক ওকুলাস রিফট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে কাজ করে। এ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য কী ভার্চুয়াল রিয়ালিটির হার্ডওয়্যার নাকি সফটওয়্যার উন্নয়ন করা এ প্রসঙ্গে জাকারবার্গ বলেন, আমরা মূলত সফটওয়্যার নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু কিছু সময় আছে যখন হার্ডওয়্যারের ঘাটতিতে সফটওয়্যার উন্নয়ন থমকে যায়। আর তাই সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যারের শূন্যস্থান পূরণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে জাকারবার্গ জানান, তিনি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয় বিষয়টি নিয়েই আগ্রহী। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও উন্নয়ন করবে তার প্রতিষ্ঠান। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন জাকারবার্গ। এ প্রযুক্তিটি হলো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। জাকারবার্গ জানান এটি ভবিষ্যতের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি এবং এটি সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। জাকারবার্গ বলেন, আমার মতে মানুষ দুটি উপায়ে শিক্ষা গ্রহণ করে। একটি হলো নজরদারির মাধ্যমে শিক্ষা, অন্যটি নজরদারিহীন শিক্ষা। আপনি যদি নজরদারির মাধ্যমে শিক্ষার কথা বলতে চান তাহলে একটি শিশুর যে শিক্ষা পদ্ধতি রয়েছে তার কথা ভাবতে পারেন। এতে কোনো একটি প্রাণীকে আপনি কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি হিসেবে উপস্থাপন করবেন। এটি অন্যরা শিখে নেবে। অন্যদিকে নজরদারিহীন শিক্ষা হতে পারে ভবিষ্যতের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিক্ষা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে আপনাকে জানতে হবে বিশ্ব কিভাবে কাজ করে। আর এটি বোঝার জন্য আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এ তথ্য আপনি যখন কোনো একটি বিষয় মডেলে উপস্থাপন করবেন। আপনি ভাববেন যে, আপনি একটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন এবং আশা করবেন তা অনুসারে আপনার ভবিষ্যৎ পাল্টে যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এ পদ্ধতিতে সহায়তামূলক কাজ করবে। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা কেড়ে নেবে এবং মানুষের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে এ প্রশ্নে জাকারবার্গ বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মেশিন মানুষের কাজ করার জন্য তৈরি। যতক্ষণ না বিষয়টি উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ তা সেভাবেই থাকা উচিত।’